আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, চলমান সংকট থেকে উত্তরণে আগামী দ্বাদশ নির্বাচন জাতীয় সরকারের অধীনে হওয়ার বিকল্প নেই। জনগণের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশ ক্রমেই ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হবে।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় মহাসচিব বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনসমূহ ভোট ডাকাতির মহোৎসব করে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে বলা হচ্ছে। যা রাজনীতির শিষ্টাচারপরিপন্থী। এমতাবস্থায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে নির্জীব আজ্ঞাবহ করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বাঁচো-মরো পরিস্থিতিতে ফেলেছে। যা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে ক্ষমতাসীনদেরকেই প্রদান ভূমিকা নিতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ করতে হবে। সেজন্য সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ২০২৩ সালে শিক্ষা সিলেবাস এবং মাদ্রাসা শিক্ষা সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী শিক্ষার বারোটা বাজানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ডারউইনের বিবর্তবাদ সব সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর সারা দেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফুল আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
-এসআর