আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে শুরু হওয়া আন্দোলনে শুরু থেকেই বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে কানাডা।
ইরানি শাসকগোষ্ঠী বিক্ষোভ দমনে কঠোরতা দেখানোয় দেশটির শাসকদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে থাকে কানাডা। সবশেষ পদক্ষেপ হিসেবে কানাডাতে ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী মার্কো ম্যানডিসিনোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
মার্কো ম্যানডিসিনো সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, কানাডা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে এমন একটি শাসনব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যেটি সন্ত্রাসবাদ এবং পদ্ধতিগতভাবে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এই চিহ্নিত করার মানে হলো ইরানি শাসকগোষ্ঠীর হাজার হাজার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আইআরজিসির অনেক সদস্যই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী সেন ফ্রেশার তালিকায় এমন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে যারা নিজের দেশ ও অন্যান্য দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
কানাডা সরকারের দেওয়া তথ্যমতে এই তালিকায় রয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান, পার্লামেন্ট সদস্য, রাষ্ট্রদূত, জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, বিচার বিভাগের সদস্য, জ্যেষ্ঠ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা।
বর্তমান ও সাবেক ইরানি কর্মকর্তা যারা কানাডায় রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে। অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেলে তাদের কানাডা থেকে বের করে দেওয়া হবে।
এর কারণ হিসেবে কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী সেন ফ্রেশার বলেন, ইরানি কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড নিন্দনীয় এবং কানাডীয় সমাজে তাদের মতামতের কোনো মূল্য নেই।
-এটি