আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরুর পর যারা শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের দেশে ফিরতে নিষেধ করেছে ইউক্রেন সরকার। আসন্ন শীত পর্যন্ত শরণার্থী এসব নাগরিকের দেশে ফেরা উচিত হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। খবর বিবিসির।
ক্রিমিয়া সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যপক হামলা শুরু করে। মূলত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই বেশিরভাগ হামলা করা হয়েছে।
একের পর এক রুশ হামলায় শীতকালে বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপক চাপের মুখে পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণেই শরণার্থী নাগরিকদের দেশে ফিরতে নিষেধ করেছে ইউক্রেন সরকার।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক কিয়েভের পক্ষ থেকে দেশের শরণার্থী নাগরিকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ অবকাঠামো পরিস্থিতি সামলাতে পারবে না। আপনারা দেখছেন, রাশিয়া কি করছে। শীতে আমাদের তো বাঁচতে হবে।
ইরিনা বলেন, যদিও তিনি চান বসন্তেই বিভিন্ন দেশে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকেরা দেশে ফিরে আসুক কিন্তু এখন তাদের দেশে ফিরে আসা উচিত হবে না, কেননা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি সম্ভব হয় তাহলে আরও কিছু দিন বিদেশেই থাকুন।
এদিকে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের মিকোলাইভসহ বেশ কয়েকটি শহরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে গত ২২ অক্টোবর ৩০টিরও বেশি রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। এতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। ঘরবাড়ি, দোকানপাটের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় ট্রাফিক লাইটগুলোও। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
তবে রুশ রকেট হামলার বেশিরভাগই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে এমন হামলাকে জঘন্য বলেও নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।
এ অবস্থায় বাসিন্দাদের সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি মজুত রাখার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। এমনকি আসন্ন শীতে ব্ল্যাকআউটের আশঙ্কাও দিন দিন বাড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
-এএ