আব্দুল্লাহ আফরান: রাজধানী ঢাকার পশ্চিম হাজারীবাগ ঝাউচরে মাদরাসাতুল বালাগ ঢাকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সীরাতুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল।
সোমবার সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে এ আয়োজন চলে দুপুর পর্যন্ত।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আওয়ার ইসলাম সম্পাদক, মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের মাঝে নবীজীর ভালোবাসা এবং নবীপ্রেমের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আজ আমরা বড়ো বড়ো মনিষীর কথা শুনি। তাদের বড়ো হওয়ার পেছনে বাবা মায়ের নববী আদর্শের অনুশীলন ছিলো উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। প্রথমে বাবা মা-ই সন্তানের মনে নববী আদর্শের বীজ রুইয়ে দিতে হবে। সন্তানকে আদর্শবান, সৎ ও মহৎ করতে চাইলে বাবা মাকেই আগে সে পথে চলা এবং আঁকড়ে থাকার বিকল্প নেই।
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন দৈনিক আমার বার্তার সহকারী সম্পাদক মাওলানা মাসউদুল কাদির। গল্পের ভেতর দিয়ে নবীজী সা. এর শৈশবের বর্ণনায় শিক্ষার্থীদের মন কাড়েন তিনি। উপস্থিত সবাই নবীজীর ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হন।
দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল, সীরাত গবেষক মুফতি শফিক সাদী বিশ্বনবীর হেরাগুহায় ওহী অবতীর্ণের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার একাগ্রতার বিষয়ে বলেন। এরপর নবীজীর মানবসেবা, সুন্দর আচরণ, আত্মীয়তা ও আতিথেয়তার বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেন, মাদরাসাতুল বালাগ ঢাকার প্রিন্সিপাল এ সব গুণ লালন করেন। কাছে থেকে দেখে দেখেও শিক্ষার্থীরা এ সব গুণ অর্জন করতে পারো।
মুফতি আব্দুল হান্নান হাবীব উল্লেখযোগ্য প্রসিদ্ধ হাদিসের কিতাবগুলোর নাম, লেখকের নাম এবং হাদিস সংখ্যা চমকপ্রদ বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাদরাসাতুল বালাগ ঢাকার প্রিন্সিপাল মুফতি আহসান শরিফ বলেন, বিশ্বনবীর আদর্শ সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাদরাসার ক্যাম্পাস, খেলার মাঠ, চায়ের দোকান, স্কুল,কলেজ, ভার্সিটি, রাজনীতির মঞ্চ, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নবীজীবনী ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে সমাজ ও রাষ্ট্র অপরাধ থেকে বাঁচতে পারবে। মানুষ হবে সৎ ও আদর্শবান।
অনুষ্ঠানে মাওলানা হাবীবুর রহমান, মুফতি আজিজুল হক, মাওলানা সাইফ শারাফাত, মুফতি তারেক মনোয়ার, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল হাসানাত ও মা ফার্মেসির কর্ণধার মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
-এসআর