আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে বিদেশি মুসল্লিদের প্রতি বাংলাদেশের তাবলিগের মারকায কাকরাইলের চিঠি পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশের তাবলিগের মুরব্বি ও শুরা সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের বিশ্ব ইজতেমার আমন্ত্রণপত্র। বিশ্বের সব দেশের সম্মানিত জিম্মাদার, শুরা সদস্য, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। দ্বীনের বরকতময় কাজে ব্যস্ত আছেন।
পৃথিবীর সকল মানুষেরই দুটি জীবন আছে, একটি হলো পার্থিব জীবন যা ধ্বংসাত্মক এবং দ্বিতীয়টি হলো পরকালের জীবন যা মৃত্যু দিয়ে শুরু হয়। যার কোনো শেষ নেই। দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে সত্যিকারের সফলতা অর্জনের জন্য আল্লাহ তায়ালা দ্বীন দান করেছেন তার রাসুল মুহাম্মাদ সা. এর সুন্নাত তরিকায় আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের নাম।
এই দ্বীনের একটি মৌলিক বিষয় হল যে, আল্লাহই আমাদের একমাত্র রব। সমস্ত সৃষ্টি সর্বদা একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। গায়েবের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।
ইসলামের সূচনাকাল থেকেই নবী মুহাম্মদ ঈমানের শিক্ষার আলোকে তাঁর সাহাবা রা.-এর ইয়াকিনকে শক্তিশালী করেছেন। হজরত সাহাবা আজমাইন রা.-এর কাছে ঈমানের মূল্য এতই প্রবল ছিল, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হুজাফা রা. সমগ্র রাজ্যের বিনিময়ে এক মুহূর্তের জন্যও ঈমান ত্যাগ করেননি।
হযরত সাহাবা আজমাইন রা. ইয়াকিনের শক্তিতে নামাজ প্রতিষ্ঠা, জ্ঞান ও যিকিরের আলোকে নবিওয়ালা আখলাকের সাথে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারা বিশ্বে বিচরণ করেন। যেহেতু আমরা শেষ নবীর উম্মত তাই নবী মুহাম্মদের পরে আর কোন নবী হবে না। তাই, দাওয়াহের মেহনতের দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বরকত দিয়েছেন।
তাই আমাদের জ্ঞান, সম্পদ, সময় ও মেধাকে দাওয়াহের কাজে ব্যয় করতে হবে, যেখানে রাসুলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবা রা. একই কাজ করেছেন। হজরত ওসমান রা. তাবুকের যুদ্ধে পুরো কাফেলার মোট খরচের এক তৃতীয়াংশ (২৪/২৫ হাজার) বহন করেছিলেন।
আলহামদুলিল্লাহ, হজরত সাহাবা কেরাম রা.-এর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে, সমগ্র মানবজাতির মধ্যে নিখুঁত দ্বীন ও দ্বীনের কাজকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দাওয়াহের কাজ করার ধারাবাহিকতায় আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে টঙ্গীতে ২০২৩ সালের বিশ্বইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ইনশা আল্লাহ।
তদুপরি, শুরায়ে নিজামের সাথীরা টঙ্গী ময়দানের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করবেন। একই সাথে উল্লিখিত তারিখে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইনশাআল্লাহ। সকল শুরাই নিজাম মুরব্বি, শুরা সদস্য আসবেন ইনশাল্লাহ।
বিগত বছরের মত বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে ইস্তেকবালের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। আমরা আশা করি আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সকল দূতাবাস টিআই ভিসার কাজ শুরু করবে।
যেসব দেশে বাংলাদেশী দূতাবাস নেই সেখানে করাচি, দিল্লী, জেদ্দা, নাইজেরিয়া থেকে ভিসা পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে নিজ দেশের জিম্মাদার সাথীর নিজ নিজ মারকাজের চিঠি এবং দূতাবাসে মাদরাসা উলুমি দীনিয়ার কাকরাইল মারকাজের আমন্ত্রণপত্র আনতে হবে। ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ভাইদের তাদের নাম, জন্মতারিখ পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু তারিখের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নিম্নলিখিত ইমেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন্ত্রণপত্র প্রস্তুত করতে।
তাই এখন থেকে আপনার দেশ থেকে চিল্লা/৩ চিল্লা জামাত পাঠাবেন। ইজতেমা থেকে চিল্লা ও ৩ চিল্লায় বের হওয়ার নিয়ত করবেন। ইমেল: [email protected]
-এটি