আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গত এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরানকে অপসারণ করা হয়। তাই বর্তমান এই উপনির্বাচন ছিল ইমরানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর রেকর্ড জয় দিয়েই এই চ্যালেঞ্জ উতরে গেলেন ছয়টি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসনে জয়লাভ করে। পাকিস্তানের নির্বাচনের ইতিহাসে এমন নজির নেই।
পাকিস্তানের রোববারের গুরত্বপূর্ণ উপনির্বাচনে আটটি জাতীয় পরিষদের আসনের মধ্যে ছয়টি আসনই পেয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এর মধ্যে ছয়টি আসনে জিতেছেন ইমরান নিজেই।
জিওটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ইমরান খান। তিনি নিজেই ছয়টি আসনে জয়লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পাঁচ আসনে জেতার নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন ইমরান।
ইমরান খানের আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো একসঙ্গে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী চারটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং একটিতে হেরেছিলেন।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)সহ জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি কোনো আসনই দখলে নিতে পারেনি।
এনএ-২২ মারদান তৃতীয়, এনএ-২৪ চারসাদ্দা দ্বিতীয়, এনএ-৩১ পেশোয়ার পঞ্চম, এনএ-১০৮ ফয়সালাবাদ অষ্টম, এনএ-১১৮ নানকানা সাহিব দ্বিতীয়, এনএ-১৫৭ মুলতান চতুর্থ, এনএ-২৩৭ মালি দ্বিতীয়, এনএ-২৩৯ কোরাঙ্গি করাচি প্রথম, এই আটটি আসনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুধু মুলতানের আসন বাদে বাকি প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ইমরান। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা হাকিম বালুচের কাছে মালির আসনে হেরেছেন তিনি।
এপ্রিলে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বহিষ্কারের পর পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগের পর শূন্য হয়ে যাওয়া ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসনগুলোতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
-এটি