আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নামাজের সময় মসজিদে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটৈছে দিল্লী সংলগ্ন হরিয়ানার গুরুগ্রামে।
বুধবার সন্ধ্যায় গুরুগ্রামের ভোদকালানে দুই শতাধিক লোক মসজিদ ঘেরাও করে এবং এরপর মসজিদে ঢুকে ভাংচুর চালানোর পাশাপাশি তারা নমাজ পড়তে আসা (মুসল্লিদের) লোকেদের মারধর ও তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে, মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায়, বলে অভিযোগ।
গুরুগ্রাম পুলিশ মসজিদ ভাংচুর ও সেখানকার লোকদের ওপর হামলার ঘটনায় এক ডজন লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় অভিযোগকারী সুবেদার নাজার আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও প্রায় দুই শতাধিক লোক এসে আমাদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
তারা হুমকি দিয়ে বলেন, যে কোনও মূল্যে তোমাদের গ্রাম ছাড়তে হবে। আমাদের লাখ লাখ বোঝানোর পরও তারা রাজি হয়নি। উল্টে অস্ত্রের জোরে যে কোনও মূল্যে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়।
বিলাসপুর থানায় অভিযোগকারী সুবেদার নাজার আহমেদ বলেন, গত সন্ধ্যায় যখন মসজিদে কিছু লোক নামাজ পড়ছিল, তখন কিছু দুষ্কৃতী ভেতরে ঢুকে হামলা শুরু করে, এতে আমাদের অনেক সঙ্গীও আহত হয়। অভিযুক্তরা তাদের অস্ত্রের জোরে আমাদের উপাসনালয় তালা দিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, বিবাদের সময় একজন অভিযুক্তের মোবাইল পড়ে যায়, যা আমাদের কাছে আছে। এই মোবাইলের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে মুসলিম সমাজের মাত্র চারটি ঘর রয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্রের জোরে আমাদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমরা এই আক্রমণকারীদের কিছু চিনতে পেরেছি। এই লোকেরা আমাদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
রাজেশ চৌহান, অনিল ভাদৌরিয়া এবং সঞ্জয় ব্যাস নামে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ শনাক্তও করেছে। পুলিশ আইপিসি ধারা ২৯৫-A, ৩২৩, ৫০৬, ১৪৭ এবং ১৪৮ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। সূত্র: প্রেস কার্ড নিউজ
-এটি