বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের কেউ প্রভাব বিস্তার করলে, তা নিয়ন্ত্রণে করতে হবে। নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক প্রভাবশালী মহল বা রাজনৈতিক দলের নেতা, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিসহ নানা মানুষ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নির্বাচনের সময় পেশিশক্তি, অর্থশক্তি বা ক্ষমতা প্রদর্শনের চেষ্টা করে। কালো টাকার ব্যবহারের কথাও শোনা যায়। আপনারা চোখ-কান খোলা রেখে এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে পরে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ বা বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের গুজব বা অপপ্রচার ছড়ায় এবং অনেক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। আপনারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। কোনো গুজবের সন্ধান পেলে বা এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে, আপনারা দ্রুত গুজবকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। আপনারা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সার্বিকভাবে খোঁজখবরের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো গুজব ছড়াচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াবেন।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নীতিমালা অনুসরণ করে খবর সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা দেশব্যাপী কর্মরত থাকেন। তারা নির্বাচনি এলাকার এবং বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহ করে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করেন। তাদের কাজে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করবেন। নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে, সেটাই গণমাধ্যমকর্মীরা তুলে ধরবে সারাদেশের মানুষের কাছে। মনে রাখতে হবে গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের কাজে অযৌক্তিক বাধাপ্রাপ্ত হলে বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করবেন।

ইসি বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেকোনো মূল্যে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। আমরা কোনো বিতর্কিত নির্বাচন করে সমালোচিত হতে চাই না। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই নির্বাচনকালীন আপনারা আমাদের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেন। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।

তিনি বলেন, কখনও দলীয় মনোভাব পোষণ করা যাবে না বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। দায়িত্ব পালনে প্রার্থী, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কখনও অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনো আচরণ করবেন না, যাতে আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি আগে থেকেই ফৌজদারি বা ক্রিমিনাল মামলা থাকে, সেটি ভিন্নভাবে আদালতে স্বাভাবিক গতিতে চলবে। কিন্তু অযথা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছ মনোভাব দেখাতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী বা নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ