বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যুবদলকর্মী নিহত: পুলিশসহ ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন বিএনপির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহতের ঘটনায় পুলিশসহ ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে বিএনপি। আদালতটির বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মদ রহিমা বেগম ১০ অক্টোবর আদেশের জন্য রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জের ১নং আমলি আদালতে মামলার আবেদনটি করেন। এতে ৯ পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুজ্জামান, সদর থানার এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, এসআই মো. আরিফুর রহমান, এসআই সুকান্ত বাউল, এএসআই নকুল চন্দ্র ধর, এএসআই অজিত চন্দ্র বিশ্বাস ও এএসআই মন্টু বৈদ্য।

বাদী সালাহউদ্দিন খান জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে তিনি মামলার বাদী হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ভয়ে-আতঙ্কে আছেন। এ জন্য তারা মামলার বাদী হননি। তবে পরবর্তী সময় তারা এ মামলার সঙ্গে যুক্ত হবেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- গত ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরনো ফেরিঘাটের কোল্ডস্টোরেজের সামনে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল।

সমাবেশে অংশ নিতে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। এর একপর্যায়ে অতি উৎসাহী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের হাত থেকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ব্যানার ছিনিয়ে নেন।

এ সময় মিনহাজুল ইসলাম পা দিয়ে ব্যানার মাড়াতে থাকেন। পরে মিনহাজুল ইসলাম মারমুখী হয়ে ওঠেন এবং তাঁর নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেটসহ সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেন।

‘হামলার শিকার হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত অবস্থায় এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাম উল্লেখ করা ৯ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ২০০ থেকে ৩০০ জন সশস্ত্র সরকারদলীয় সন্ত্রাসী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে।

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন তখন ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে লাগলে পুলিশ তার কপালের ডান দিকে গুলি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাওন মারা যান।’

অভিযোগটির বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ‘সেদিন কী হয়েছে, দিনের আলোর মতো সত্য। বিএনপি পুলিশের ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা করেছে, তা ঢাকার অপচেষ্টা হিসেবে তথা বিভ্রান্ত করার জন্য ঘটনার ১৫ দিন পর এমন অভিযোগ করেছেন।’

তিনি জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আর শাওন তাদের কর্মীদের ইটের আঘাতেই মারা গেছেন, যা ভিডিও এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ