আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিদ্যুতের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয়ে নাশকতা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয় নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখানে দুটো জিনিস। একটা হলো এখনও পলিটিক্যাল পারসনদের কাছে যেটা শুনছি- এরকম ঘটনা আরও হবে। এটা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বললেন। আরও হবে মানে কিন্তু এখানে অন্যরকম ষড়যন্ত্রের কথা। উনি জানেন কীভাবে? জানেন কীভাবে ভবিষ্যতে আরও হবে, এত বছর হলো না।’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সমালোচনা করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘যে ব্যক্তিটা তার নিজের আমলে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, ট্রান্সমিশনের লাইন তো বাদই দিলাম। একমাত্র খাম্বা এবং পুল ছাড়া কিছুই লাগাতে পারেনি। উনি কিন্তু পন্ডিতের মতো কথা বলে দিলেন, এরকম ঘটনা আরও হবে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে (জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে) অন্যরকম নাশকতা আছে কি না, সেটাও যাচাই-বাছাই চলছে। এটা হচ্ছে একটা বিষয়। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে- অবশ্যই টেকনিক্যাল সাইটটাও (কারিগরি দিকটাও) আমরা দেখছি।’
২০১৪ সালেও বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল- সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলে ধরলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘২০১৪ সালের ঘটনাটি ছিল এক রকম। এ ঘটনাটি অন্যরকম। দুটি দুই রকম ঘটনা। ওইখান থেকে যা নেওয়ার তার থেকে অনেক দূর পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড) অ্যাডভান্স লেভেলে চলে গেছে। পাওয়ার রি-স্টোর করতে মানে কত দ্রুত আনতে পারি, বিভিন্ন উন্নত বিশ্বে কয়েক দিন আগে রেকর্ড আছে, তিন দিন-চার দিন লেগে গেছে কিন্তু আমরা সেদিকে যাচ্ছি না।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে কাজ করার কারণে কিন্তু আমরা দ্রুততার সঙ্গে আনতে পেরেছি। এক ঘণ্টা পর থেকেই কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছিল রি-স্টোর করা। এটা একটি বড় জিনিস অবশ্যই টেকনিক্যাল ফল্ট এখানে আছে। একদম পিন টু পিন যদি আমি আমরা ধরতে যাই, তাহলে একটু সময় লাগবে। এ কারণে আমি দুইটি কমিটি করে দিয়েছি। একটি কমিটি হলো বিদ্যুৎ বিভাগের ভেতরের লোক, আরেকটি বাইরের লোক। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে।’
এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুর ২টা দিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। পরে রাতের দিকে ধীরে ধীরে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা হয়।
-এটি