আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মহানবী মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখতে বলার কারণে কর্ণাটকের গদাগ জেলার নাগাভি গ্রামের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সা.-এর উপর একটি প্রবন্ধ লেখার অজুহাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনে উগ্রবাদী সংগঠন শ্রী রাম সেনার সদস্যরা স্কুলে হামলা করে ভাঙচুর করার ঘটনা সংবিধান বিরোধী কাজ, যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হিন্দু উগ্রবাদীরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুনাফর বিজাপুরের কক্ষে ঢুকে গালাগালি শুরু করে নেহায়েত অন্যায় করেছে।
তিনি আরো বলেন, জানা যায় স্কুলে প্রতি মাসে অন্তত একটি বা দুটি ইভেন্ট হয়, সেই ইভেন্টের ধারাবাহিকতায় একটি করে বিষয় সেট করা হয়। এরপূর্বে কণক দাস, পুরন্দর দাসা এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে অনুষ্ঠান এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কিন্তু যখন মুহাম্দ সা. এর বিষয় আসলো তখনই উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিম স্কুলটিতে হামলা ও ভাংচুর করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত করেছে।
ভারত সরকারের উগ্রবাদীরা বার বার মুসলমানদের উপর সামান্য অজুহাতে আঘাত করে এবং মহানবী সা.কে নিয়ে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার ও কটুক্তি করে ইসলামধর্মে আঘাত করে। ভারতকে এধরনের আঘাত থেকে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় বিশ্ব মুসলিম ভারতের এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
-এটি