ওমরফারুক ফেরদৌস।।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ যখন দশ আয়াত শিখতো, সে এর অর্থ ও আমল না জেনে অগ্রসর হতো না অর্থাৎ নতুন আয়াত পড়তো না।’ - ইবনে জারীর তাবারী, জামিউল-বায়ান ফী তাওয়ীলিল কুরআন ১/৮০
আবু আবদির রহমান আস-সুলামী বলেন, ‘আমাদেরকে যারা কুরআন পড়িয়েছেন যেমন উসমান ইবনে আফফান, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও অন্যরা তারা আমাদের বলেছেন, তারা যখন নবীজি সা.-এর কাছে কুরআন পড়তেন, তারা দশ আয়াত পড়ার পরে এর ইলম ও আমল না জেনে সামনে অগ্রসর হতেন না। এ কারণে এক সূরা হিফজ করতেই তাদের দীর্ঘ দিন লেগে যেতো।’
ইমাম আহমদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন, আনাস রা. বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ যখন সূরা বাকারা ও আলে ইমরান পড়ে ফেলতো, আমাদের চোখে তার সম্মান অনেক বেড়ে যেতো।’
ইমাম মালেক তার মুআত্তায় বর্ণনা করেছেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূরা বাকারা হিফজ করতে আট বছর সময় লেগেছিলো।’ কারণ আল্লাহ বলেছেন, ‘এই কল্যাণময় কিতাব আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এটার আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।’ -সূরা সোয়াদ, আয়াত: ২৯
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি এরা কুরআন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না? না এদের অন্তর তালাবদ্ধ?’ সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২৪
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী বলেন, ‘আল্লাহর কালাম না বুঝে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা সম্ভব নয়। মানুষের কাছে চিকিৎসা বা হিসাববিদ্যার কোনো বই না বুঝে পড়া অস্বাভাবিক মনে হয়। তাহলে তারা কীভাবে আল্লাহর কালাম না বুঝে পড়ে, যে কিতাব তার দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্য ও মুক্তির পথ!’ আল ইতকান ফী উলূমিল কুরআন ৪/২০২
-এটি