আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সবধরনের মাদক নিষিদ্ধের দাবি করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মাদক সেবন, উৎপাদন, বিপনন ইসলামে হারাম করা হয়েছে।
তার অনেক সায়েন্টিফিক কারণ আছে। সরকার যখন এ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২২ পাশ করার চিন্তা-ভাবনা করছিলো, তখন তা বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কঠোরভাবে প্রতিবাদ এবং আন্দোলন গড়ে তুলে। সরকার আমাদের আন্দোলনকে কোন প্রকার মূল্যায়ন করেনি।
‘সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরা মাদক সাপ্লাই করেন’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও এখন তা স্বীকার করেছেন। মাদক আইনে বলা আছে ২১ বছর বয়সী যে কেউ মাদক বা মদপান করতে চাইলে সরকার তাকে লাইসেন্স দিবে, এবং কোন মহল্লায় যদি ২০জন মাদকসেবনকারী থাকে তাহলে মদের বার করার লাইসেন্স দেয়া হবে। এভাবে মাদককে সহজলভ্য করে দিয়ে পুরোদেশকে মাদকাসক্ত করার যে ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে তা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’ এব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম এবং ইসলামপন্থি নেতৃবৃন্দ সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করে থাকেন, মাদকের কুফল নিয়ে কথা বলি সবচেয়ে বেশি। কিন্তু মাদককে এভাবে বৈধতা দিয়ে এবং সহজলভ্য করে দিয়ে কখনও মাদকমুক্ত জাতি গঠন সম্ভব নয়।
তিনি মাদক আইন ২০২২ বাতিলের দাবি জানান। মাদকমুক্ত দেশ গঠন করতে হলে মাদক আইন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না। ফলে মাদকাসক্ত জাতি তৈরি হবে।
পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, বরকতউল্লাহ লতিফ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রমুখ।
-এটি