আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০০৮ সালের পর আবার মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।
নিউ ইয়র্কে জতিসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির বৈঠকের সাইডলাইনে এই দুই নেতার বৈঠক হলো। এক মাস আগেই দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে লাপিদ তাদের পুরনো দাবি আবার জানিয়েছেন। সেটা হলো, ২০১৪ সালের যুদ্ধের সময় গাজা ভূখণ্ড থেকে নিখোঁজ দুই সেনাসহ চারজনকে যেন ইসরাইলের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করে তুরস্ক। তাদের ঘরে ফেরার গুরুত্ব কতটা তা এরদোগানকে জানিয়েছেন লাপিদ।
তুরস্ক ন্যাটো সদস্য। তারা বরাবর গাজা ভূখণ্ডের প্রকৃত শাসক হামাসের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে চলে। দুজন বেসামরিক মানুষসহ চারজনকে হামাস আটকে রেখেছে বলে ইসরাইলের দাবি।
প্রথম মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে তুরস্কই ইসরায়েলকে ১৯৪৯ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু এরদোগানের সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ২০০৮ সালে শেষবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী তুরস্ক সফর করেছিলেন। তখন দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিলেন।
২০১০ সালে তুরস্কের একটি জাহাজে ইসরায়েলের হামলায় ১০ জনের মৃত্যুর পর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই জাহাজে করে গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অবরোধ ভেঙে জাহাজটি এগোতে চায়। তখনই এই ঘটনা ঘটে।
তবে গত কয়েক মাসে সেই শীতল সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা করে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দেশই রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের বৈঠকে এরদোগান বলেছেন, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক।
একইসাথে এরদোগান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তুরস্ক এখন ইসরাইলের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। শাস্তি ও স্থায়িত্বের জন্য এটা দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের মানুষও তাদের আপনজন বলে এরদোগান জানিয়েছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে
-এটি