|| কাউসার লাবীব ||
গত রমজানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘সাওতুল কোরআন’ নামক একটি কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির এক পর্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ, সঙ্গীত শিল্পী আগুন ও কারী নুর হুসাইন। অনুষ্ঠানটির এক পর্যায়ে শিল্পী আগুন তার নিজস্ব ভঙ্গিতে কোরআন তিলাওয়াত করেন। তার তিলাওয়াত শুনে শায়খ আহমাদুল্লাহ তাৎক্ষণিক কিছু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
প্রতিক্রিয়ার কথাগুলো ছিলো অনেকটা এমন, ‘আমার মনে হয় আপনি চেষ্টা করলে কিরাতের যে দিকগুলো আছে এবং ছোট ছোট আরবি অক্ষরের সঠিক যে উচ্চরণগুলো আছে সেগুলো শিখে নিলে মানুষ আপনার কাছ থেকে চমৎকার তিলাওয়াত উপহার পাবে। কেননা আপনার কণ্ঠের তো কোনো তুলনা হয় না। আর একটি বিষয় হলো, কোরআন তিলাওয়াতের আলাদা একটি স্বকীয়তা আছে। তিলাওয়াতের জন্য সেটিই যথেষ্ট।’
পাঁচ-ছয় মাস আগের ভিডিওটি সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় নতুন করে ভেসে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে শায়খ আহমাদুল্লাহ শিল্পী আগুনের তিলাওয়াতে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তা পছন্দ হয়নি অনেকের। শুরু হয় নানা বিতর্ক।
চলমান বিতর্ক ও আগুনের তিলাওয়াত বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শায়খ আহমাদুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে বলেন, শিল্পী আগুনের তিলাওয়াতে দুটো ভুল ছিল। প্রথমত অশুদ্ধ উচ্চারণ। দ্বিতীয়ত গানের সুর। দুটো বিষয়েই তাৎক্ষণিক তাকে সতর্ক করে উচ্চারণ শুদ্ধ করা এবং কুরআনের স্বকীয়তার কথা বলে গানের সুর থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। প্রশংসা করা হয়েছে তার কুরআন তিলাওয়াতের প্রচেষ্টা ও আগ্রহের কারণে। গানের সুরে তিলাওয়াতের জন্য মোটেও নয়। আসলে আমি লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে তাকে বিব্রত করতে চাইনি এবং কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি তার যে আগ্রহ আছে সেটিকে নষ্ট করতে চাইনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এটা ছিল ক্যামেরার সামনে। মিডিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিসরে এরচেয়ে বেশি বলা কঠিন। এটা যারা মিডিয়ায় কাজ করেন, তারা ভালো বোঝেন। অনেক কথা বললেও মিডিয়ার যতটুকু দরকার, ততটুকুই তারা রাখে।
তিনি আরো বলেন, তবে আমি অনুষ্ঠান শেষে তাকে ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘ সময় ধরে কুরআন শুদ্ধ করা এবং কুরআনের নিজস্ব সুরের গুরুত্বের কথা বুঝিয়েছি। এমনকি গান ছেড়ে তিনি যেন কুরআনের জন্য সময় দেন সে দাওয়াতও দিয়েছি। যাতে আল্লাহ তায়ালা এবং মানুষ সবাই তার কণ্ঠের জন্য খুশি হন।
কেএল/