আওয়ার ইসলাম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নোবেল বিজয়ী জোসেফ স্টিগলিজসহ ৭০জনেরও বেশি অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পাঠানো একটি চিঠিতে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষমতাসীন তালেবানদের আচরণের সমালোচনা সত্তে¡ও অর্থনীতিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিদেশী মূলধনগুলোকে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার সম্পদ দ্য আফগানিস্তান ব্যাংকে (ডিএবি) ফেরত দিতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের জনগণ এমন একটি সরকারের জন্য দ্বিগুণ ভোগান্তির শিকার হয়েছে যা তারা বেছে নেয়নি’। ‘মানবিক সঙ্কট প্রশমিত করার জন্য এবং আফগান অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের পথে সেট করার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি ডিএবিকে তার আন্তর্জাতিক রিজার্ভ পুনরুদ্ধার করার অনুমতি দিতে’।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনকে সম্বোধন করা এ চিঠিতে ৭১ জন অর্থনীতিবিদ এবং একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা স্বাক্ষর করেছেন, যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানি, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা।
তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন গ্রীক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিগলিটজ যিনি ২০০১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের উপদেষ্টা বোর্ডে ছিলেন, যেটি চিঠিটি আয়োজন করেছিল।
প্রায় এক বছর আগে বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনীতি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত। ইউক্রেনের সঙ্ঘাতের কারণে হঠাৎ করে সাহায্যের হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতিসহ অন্যান্য কারণ অবদান রেখেছে, তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, দেশটি তার রিজার্ভের অ্যাক্সেস ছাড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ করতে অক্ষমতার কারণে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এর ফলে আফগান মুদ্রার তীক্ষè অবমূল্যায়ন হয়েছে, আমদানির দাম বেড়েছে এবং নাগরিকরা তাদের সঞ্চয় অ্যাক্সেস করতে এবং বেতন পেতে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রায় পতনের দিকে নিয়ে গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তার বৈদেশিক রিজার্ভের অ্যাক্সেস ছাড়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার স্বাভাবিক, প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারে না ... অনুমান করা যায়, আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে’ চিঠিতে বলা হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
কেএল/