অনুবাদ: নোমান আব্দুল্লাহ
শাইখুল ইসলাম তাকি উসমানি রহ বলেন, আমার শায়খ ডা. আব্দুল হাই রহ. একবার ঘটনা শোনান। তিনি বলেন, আমার সাথে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীসহ ইসলাহি সম্পর্ক রাখতো। ত একবার তারা আমাকে তাদের বাড়িতে দাওয়াত দিলো। পরে আমি তাদেত বাড়িতে গিয়ে খাবার খেলাম। খাবার খুব সুস্বাদু ছিলো।
তাকি উসমানি রহ. বলেন, আমার শায়খের অভ্যাস ছিলো, খাওয়াদাওয়া শেষ হলে খাবার ও যে রান্না করেছে তার প্রশংসা করতেন। যাতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ও হয়ে যায় এবং যিনি রান্না করেছে তিনিও খুশি হয়ে যান।
যাইহোক, খাওয়াদাওয়া শেষ হলে উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী পর্দার আড়াল থেকে শায়খকে সালাম দিলেন। তখন তিনি বললেন, আপনার রান্না আজ খুব সুস্বাদু হয়েছিলো, তৃপ্তিভরে খেয়েছি। তিনি বলেন, এ কথা বলার পর পর্দার ওপার থেকে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ আসতে লাগলো। আমি পেরেশান হয়ে গেলাম যে, আমার কোনো কথায় মনঃকষ্ট কষ্ট পেয়ে সে কান্নাকাটি করছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে? কাঁদছেন কেন? তিনি কোনোরকম কান্না থামিয়ে বললেন, আমার স্বামীর সাথে আমি চল্লিশ বছর ধরে সংসার করছি। অথচ এ দীর্ঘ জীবনে সে কখনো তার মুখ থেকে শুনিনি, "আজ খাবার সুস্বাদু হয়েছে।" আজ আপনার মুখ থেকে তা শুনে আর কান্না ধরে রাখতে পারিনি।
উক্ত ব্যক্তি যেহেতু তার মুরিদ ছিল, তাই তিনি বললেন, এ কেমন কৃপণতা যে কারো একটু প্রশংসা করা যায়না। যাতে তিনি খুশি হয়ে যান। তাই আমাদের উচিত খাওয়াদাওয়ার পর খাবার ও যে রান্না করেছে তার প্রশংসা করা। যাতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি, যিনি রান্না করেছেন তিনি খুশি হয়ে যান।
-এটি