ফাহিম সিদ্দিকী
আমি জান্নাতের ভেতর উঁকি দিলাম, দেখতে পেলাম তার অধিকাংশ গরীব-অভাবী। (মুসলিম : ২৭৩৭)
যেহেতু গরীবদের হিসাব কম; তাদের যাকাত নেই, হজ্জ নেই, মালের কোন হিসাব-নিকাশ নেই, তাই তারা নির্ঝঞ্জটে ধনীদের আগে আগেই জান্নাতে চলে যাবে। কিন্তু কতদিন আগে?
এক বর্ণনানুসারে ৪০ বছর আগে।
আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুহাজিরদের দরিদ্রশ্রেনীর লোকেরা ধনশালীদের চেয়ে চল্লিশ বছর পূর্বে কিয়ামতের দিন জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ২৯৭৯)
এ বিষয়ে আরেকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, অভাবগ্রস্ত লোকরা ধনী লোকদের পাঁচশ বছর আগে বেহেশতে প্রবেশ করবে এবং তা হবে কেয়ামতের অর্ধ দিন। (তিরমিজি)
হজরত সোলাইমান আ. বিশাল ক্ষমতা ও প্রাচুর্যপূর্ণ সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। তারপরও তিনি দারিদ্রতাকে ভালোবাসতেন।
এত বিশাল ক্ষমতা ও প্রাচুর্যপূর্ণ সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েও তিনি রাজকোষ থেকে কোনো ভাতা-বেতন গ্রহণ করতেন না। টুকরি বানিয়ে তা বিক্রি করে তার উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর রাজ্যের ন্যায়বিচার লোককথা হয়ে সারা দুনিয়ায় আজও মানুষের মুখে মুখে চর্চিত হয়।
পবিত্র কোরআনে তাঁর বিশাল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি উল্লেখ করতে ‘মাশারিকাল আরদ ওয়া মাগারিবিহা’ তথা পৃথিবীর পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল বোঝানো হয়েছে। এমন সুপার পাওয়ার এর এভাবে দরিদ্রতা বেঁছে নেওয়া চরটি খানি কথা না!
-এটি