ফাহিম সিদ্দিকী: হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, লোকেরা বলে আবূ হুরায়রা বেশী হাদিস বর্ণনা করে। আল্লাহ্ সাক্ষী, মুহাজির ভাইগণকে তাদের বাজারি কায় কারবার ব্যস্ত রাখত।
আনসারী ভাইগণকে তাদের ক্ষেত-খামারের কাজ ব্যস্ত রাখত। আর আমি নিঃসম্বল ছিলাম। সর্বদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পড়ে থাকতাম।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় পেটের ক্ষুধা সইতে না পেরে আমি বেহুশ হয়ে যেতাম। লোকেরা মনে করত আমার মৃগি রোগ, এ মনে করে তারা আমার ঘাড়ে তাদের পা দিয়ে পাড়াত।
ওই সময় তাদের ধারণা ছিল মৃগী রোগ দেখা দিলে পা দিয়ে ঘাড়ে পাড়ালে রোগ সেরে যায়। অথচ আমি বুঝতাম যে, মৃগি রোগের কারণে নয়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমার এ অবস্থা হয়েছে।
তারপরও তিনি হাদিস শেখার লালসায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবার ছাড়তেন না। এ কুরবানির বরকতেই আজ সারা বিশ্বে কোটি-কোটি মানুষ অহরহ তাঁর নাম নিতে বাধ্য। সবচেয়ে বেশী হাদীস তাঁর থেকেই যে বর্ণিত! এ উম্মত ৫৩৭৪ টি হাদীস তাঁর মাধ্যমে লাভ করেছে।
-এটি