আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমাদের মসজিদ দোতলা। মাইকে নামায হয়। জুমআর দিন হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন তখন মসজিদে আসা একজন মুসল্লি যিনি এখনো নামাযে শরীক হননি তিনি চিৎকার করে বলে যে, ভাই কারেন্ট চলে গেছে দোতলায় আওয়াজ আসে না। তাই মুকাব্বির হিসেবে কেউ তাকবীর জোরে বলেন। উক্ত ব্যক্তির কথা শুনে নিচ তলা থেকে এক ব্যক্তি জোরে তাকবীর দিয়ে উঠে। এভাবে দোতলার মুসল্লিগণ নামায আদায় করে।
আমার প্রশ্ন হলো, নামাযের বাহিরের একজন ব্যক্তির বলার দ্বারা নামাযরত ব্যক্তি মুকাব্বিরীর দায়িত্ব পালন করার কারণে তার নামায এবং তার ইক্তিদায় দোতলায় নামায পড়া মুসল্লিদের নামাযের হুকুম কী?
জবাব: যদি নামাযের বাহিরের ব্যক্তির বলার সাথে সাথে কোন প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই নামাযরত ব্যক্তি মুকাব্বিরীর দায়িত্ব পালন করে তাকবীর জোরে বলে থাকে, তাহলে এর দ্বারা উক্ত মুকাব্বিরের নামায যেমন ফাসিদ হয়ে গেছে, তেমনি তার অনুসরণে যারা নামায আদায় করেছে, তাদের সবার নামায ফাসিদ হয়ে গেছে।
তবে যদি বাহিরের ব্যক্তির সতর্কবার্তা শোনার পর, উক্ত ব্যক্তি নিজেও চিন্তা করে যে, কারেন্ট চলে গেছে, তাই তাকবীর জোরে বলা উচিত। সেই হিসেবে নিজ তাগাদায় জোরে তাকবীর বলে মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে তার নামায নষ্ট হবে না। সেই সাথে তার অনুসরণে যারা নামায আদায় করেছে তাদের নামাযও নষ্ট হবে না। বরং সবার নামাযই শুদ্ধ হয়ে যাবে।
مسجد كبير يجهر المؤذن فيه بالتكبيرات فدخل فيه رجل أمر المؤذن أن يجهر بالتكبير وركع الإمام للحال فجهر المؤذن إن قصد جوابه فسدت صلاته (رد المحتار، زكريا-2\381، كرتاشى-1\622)
وإن حصل تذكره من نفسه لا بسبب الفتح لا تفسد مطلقا (رد المحتار، زكريا-2\382، كرتاشى-1\622)
উত্তর লিখনে: লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা। উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
-এএ