আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ন্যাটোর সম্প্রসারণ নীতি তুরস্কের সংবেদনশীলতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগান। জোটের সদস্যপদ প্রত্যাশী সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সাথে একটি প্রোটোকলে স্বাক্ষর করার কয়েক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার এই বক্তব্য দিলেন এরদোগান। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
গত মাসে মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে তুরস্কের সাথে একমত হয় দুই নর্ডিক দেশ। এরপর শর্তসাপেক্ষে দেশ দুটিকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেয় তুরস্ক। সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান দেশ দুটিকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, চুক্তির শর্ত অবশ্যই তাদের মানতে হবে।
এরদোগান বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, শর্ত পূরণ না করলে আমরা তাদের ন্যাটোতে যোগদান প্রক্রিয়া স্থগিত করব। সুইডেন ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না। আমাদের অবস্থান দৃঢ়। বাকিটা তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
সর্বশেষ ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে আঙ্কারা এবং সুইডেন-ফিনল্যান্ড একটি প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছিল, যা দেশ দুটিকে ন্যাটো সদস্য হওয়ার অনুমতি দেয়। চুক্তির পর ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ৩০ সদস্যের সামরিক জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ জানায়। তবে আঙ্কারার দাবি, তুরস্কের সন্ত্রাসবাদের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তুরস্কের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ড তাদের ঐতিহ্যগত নিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে মে মাসে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করে। কিন্তু তুরস্ক তাদের সদস্যপদ পাওয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল। তুরস্কের দাবি, তুর্কি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ওয়াইপিজি বা পিকেকে এবং ফেটোর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
তুরস্কের বিরুদ্ধে ৩৫ বছরেরও বেশি সময়ের সন্ত্রাসী অভিযান চালিয়ে আসছে কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে। তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউর সন্ত্রাসী তালিকায় সংগঠনটির নাম রয়েছে। তারা নারী শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষ হত্যার জন্য দায়ী।
অন্যদিকে, এরদোগানবিরোধী ফেতুল্লা গুলেনের সংগঠন ফেটো ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা চালায়। এতে ২৫১ জন নিহত এবং ২ হাজার ৭৩৪ জন আহত হয়েছিলেন।
-এটি