আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তিসহ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায় দলটি। একই সঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ভোটগ্রহণ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করতে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) মোট ১৫টি প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ওই প্রস্তাবনা দেয় দলটি। সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
দলটির লিখিত প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে-
১। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমিশনকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
২। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা ইসির হাতে রাখা এবং নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।
৩। নির্বাচনে যেভাবে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের বিপথগামী ও চরিত্র নষ্ট করা হয়ে থাকে তাতে কোনো সৎ ও যোগ্য লোকের নির্বাচন করা খুবই কঠিন। আর এ অপতৎপরতা বন্ধ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অতীতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা অর্জিত হয়নি। নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব চলছেই।
এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব হলো, নির্বাচন কমিশনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে সব প্রার্থীর পক্ষ থেকে সার্বিক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা। একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সব প্রার্থীর বক্তৃতার ব্যবস্থা করা। জামানতের সঙ্গে এসব খরচের টাকা প্রার্থী বা দল থেকে নেওয়া যেতে পারে।
৪। নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা। ৫। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। ৬। ধর্ম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়া।
৭। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্ত আরোপ না করা। ৮। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া।
৯। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা নেওয়ার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। ১০। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সব কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া। নতুন কোনো রাজনৈতিক মামলা না দেওয়া। কোনো প্রার্থী ও তার কর্মীদের অযথা হয়রানি না করা। ১১। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করা।
১২। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ১৩। নিরপেক্ষভাবে ভোটের সংবাদ প্রচারে বা সরাসরি সম্প্রচারে মিডিয়ার উপর কোনোরূপ বাঁধা সৃষ্টি না করা।
১৪। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা (সিল মারার স্থান ব্যতিত)। ১৫। প্রবাসী ভোটারদের ভোটগ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
-এটি