অনুবাদ: নোমান আব্দুল্লাহ দ্বীনের ক্ষেত্রে স্ত্রীদের অন্যতম বড় ভুল হলো স্বামীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর প্রতি গুরুত্ব দেয়না। তারা এর পরোয়া করেনা যে, স্বামী আমাদের কারণে কোনো হারামে জড়িয়ে পড়ছে কিনা।
স্বামী হারাম আয় করলে তারা বুঝিয়ে বলেনা-হারাম উপার্জন করবেননা। আমরা হালাল উপার্জন দিয়েই সংসার চালিয়ে নিবো। এমনিভাবে স্বামী নামাজ না পড়লেও তাকে নামাজ পড়তে বলেনা; অথচ নিজের প্রয়োজন স্বামীর কাছ থেকে তারা ঠিকই আদায় করে নেয়। যদি স্ত্রীরা স্বামীদের দ্বীনদার বানাতে চায় তাতে কোনো সমস্যা নেই, তবে তার জন্য আগে প্রয়োজন হলো স্ত্রীদের দ্বীনদার হওয়া।
প্রথমে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেদের নামাজ-রোজা ঠিকমতো আদায় করা, তারপর স্বামীকে নামাজ-রোজা করার তাগিদ দেওয়া। তাহলে স্বামীর উপর তাদের কথার প্রভাব পড়বে ইনশাআল্লাহ ।
কিন্তু কিছু নারী দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর জায়নামাজ আর তসবিহ নিয়ে ইবাদতে বসে পড়ে। আর ঘরের কাজ ও স্বামীর খেদমতের দায়িত্ব মায়ের উপর ছেড়ে দেয়। এটি ভালো কাজ নয়।
কারণ সংসারের দেখাশোনা ও স্বামীর খেদমত ও সম্পদের হেফাজত করা তার জন্য ফরজ। যখন ফরজেই ঘাটতি হয়, তখন নফল আমল কী ফায়েদা দিবে? তাই দ্বীনদারির ক্ষেত্রে এতো বাড়াবাড়ি করা যাবেনা যে নিজের সংসারের খোঁজখবরই রাখা বাদ দিয়ে দিবে। নামাজ-রোজার পাশাপাশি সংসার ও স্বামীর খেদমতও করতে হবে।
-এটি