আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঈদুল আজহার সময় মূলত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। আর কোরবানি হলো গুরুত্বপূর্ণ তাকওয়া সমৃদ্ধ ইবাদত। নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা মুস্তাহাব। যদি নিজের দ্বারা জবাই করতে সম্ভব না হয়, তবে অন্যের দ্বারা জবাই করানো হয়। এক্ষেত্রে জবাইয়ের সময় কোরবানি দাতা সামনে থাকা উত্তম।
কোরবানির পশু জবাইয়ের আগে কিছু নিয়ম জানা জরুরি—
পশু জবাই বা নহরের পদ্ধতি
জবাই করার সময় পশু ক্বিবলামুখী করে শোয়াতে হবে। অতঃপর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ বলা পরিত্যাগ করলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। আর যদি ভুলবশত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তবে তা খাওয়া বৈধ।
কোরবানি শুদ্ধ
জবাই করার সময় পশুর কণ্ঠনালী, খাদ্যনালী, এবং উভয় পাশের দুটি রগ অর্থাৎ মোট চারটি রগ কাটা জরুরি। কমপক্ষে যদি তিনটি রগ কটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি দু’টি রগ কাটা হয় তবে কুরবানি দুরস্ত হবে না। (হিদায়া)
জবাই করার সময় ছুরি ভালোভাবে ধার দিতে হবে। যাতে করে জবাইয়ের সময় পশুকে খুব বেশি কষ্ট করতে না হয়। যেমন- এক ছুরি দিয়ে জবাই শুরু করে চামড়া কিছু কাটার পর কোনো ব্যক্তি যদি জবাই করার সময় জবাইকারীর ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে, তবে তাকেও ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলতে হবে।
পশু জবাইয়ের দোয়া
কোরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে (উচ্চস্বরে) নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে নিয়ত এ নিয়ত করা যে, ‘আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি আদায় করছি।’ তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম।
কোরবানির পশু ক্বিবলার দিকে শোয়ানোর পর এ দোয়া পাঠ করা- ‘ইন্নি ওয়াঝঝাহতু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বি-জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা।’ অতঃপর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে কুরবানির পশু জবাই করা।
কোরবানির পশু জবাই করে যে দোয়া পড়তে হবে- ‘আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিও ওয়া খালিলিকা ইবরাহিমা আলাইহিমাস সালাতা ওয়াস সালাম।’
যদি কেউ একাকি কুরবানি দেয় এবং নিজে জবাই করে তবে বলবে মিন্নি, আর অন্যের কোরবানির পশু জবাই করার সময় ‘মিন’ বলে যারা কোরবানি আদায় করছে তাদের নাম বলা।
-কেএল