মুযযাম্মিল হক উমায়ের ৬০. মানুষ যখন তওবার করার বিষয়ে সততার স্তরে পৌঁছে যায়, তখন সে মুনিব (আল্লাহ তায়ালার একনিষ্ঠ বান্দা) হয়ে যায়। এটি হলো, তওবার দ্বিতীয় স্তর। সুতরাং তোমরা আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো। তাফসীরে রুহুল বয়ান: খ. ৭, পৃ. ৩২
৬১. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, আমরা অভাব-অনটন, দরিদ্রতাকে চেয়েছি কিন্তু প্রাচুর্যতা আমাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে। আর লোকজন প্রাচুর্যতাকে চেয়েছে কিন্তু অভাব-অনটন তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে। সুতরাং প্রকৃত জ্ঞানীদের কাজ হলো, অন্তরের প্রশান্তি লাভ করা। আর নিজের ইচ্ছাশক্তিকে মিটিয়ে দেওয়া। কারণ, আল্লাহ তায়ালা যা করতে চান, তা-ই করেন। আর এই সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালার পূর্ব থেকেই জানা আছে। এবং তিনি সুকৌশলীও। সূত্র: তাফসীরে রুহুল বয়ান: খ. ৭, পৃ. ৩৯
৬২. সবচেয়ে কঠিন জিহাদ হলো, প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করা। যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে, সে দুনিয়া ও দুনিয়ার বিপদাপদ থেকে প্রশান্তি লাভ করেছে। সূত্র: আত-তানবীর শরহুল জামিউস সাগীর: খ. ৮, পৃ. ৬১
৬৩. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, দুনিয়ার মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে অথচ তারা দুনিয়ার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদান করতে পারেনি। উনার কাছে জানতে চাওয়া হলো, তারা কী ছেড়ে গেছে? উত্তরে তিনি বলেন, মারেফতের স্বাদ।
(অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার মারফত হাসিলের স্বাদ থেকে তারা বঞ্চিত অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ায় থাকাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার মারেফতের স্বাদ পায়নি, সে মূলত দুনিয়ার প্রকৃত স্বাদই পায়নি- সংকলক)
৬৪. যে ব্যক্তি পেটকে সংরক্ষণ করতে পেরেছ সে দীনকে সংরক্ষণ করতে পেরেছে। আর যে ব্যক্তি ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে, সে সমস্ত ভালো চরিত্রকে নিজের মধ্যে একত্র করতে পেরেছ। সূত্র: মাজাল্লাতুল বয়ান: খ. ১৩৩, পৃ. ১৬
৬৫. যদি তুমি রাতে ঘুমিয়ে থাকো। দিনে দিশেহারা হয়ে ঘুরো। এবং সর্বদায় গুনাহে লিপ্ত থাকো। তাহলে যিনি তোমার সর্ববিষয়ে দায়িত্ববান (আল্লাহ তায়ালা) তিনি কী করে তোমার উপর সন্তুষ্ট হবেন? সূত্র: মাওকিউল ইসলাম. খ. ৫, পৃ. ২১৭৭
-এটি