হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী।।
১.কুরবানীদাতা নিজে কুরবানীর পশুর চামড়া ব্যবহার করতে পারবে? উত্তরঃ- হ্যাঁ, কুরবানীদাতা নিজে কুরবানীর পশুর চামড়া Processed বা প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারবে। কেননা কুরবানীর পশুর চামড়ার মালিক কুরবানীদাতা নিজে। সে ইচ্ছা করলে যে কোন ভাবে তা দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। আর যদি সে চামড়াটি দান করে দিতে চায়, তবে বিক্রি না করে আস্ত দান করাই উত্তম।
কিন্তু যদি বিক্রি করা হয়, তাহলে এর মূল্যের হকদার হয়ে যায় ফকির মিসকিন তথা যাকাত গ্ৰহণের উপযুক্ত লোকজন। যদি এদের থেকে বাছায়ের প্রশ্ন আসে তবে তাদের মধ্যে দ্বীনদার আত্মীয়-স্বজন প্রাধান্য পাবে। যে সকল Poor person বা দরিদ্র ব্যক্তি টাকা নিয়ে গুনাহের কাজে লাগাতে পারে বলে Fear বা আশঙ্কা রয়েছে, তাদেরকে দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬১৬৩; বাদায়েউস সানায়ে,৪/২২৫; রদ্দুল মুহতার, ৬/৩২৮; শরহুল কানয, বদরুদ্দীন আইনি,২/২০৬
২. কুরবানীর পশুর চামড়া বা তার মূল্য দ্বারা কসাইয়ের পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে কিনা? উত্তরঃ- কুরবানীর পশুর চামড়া বা তার মূল্য দ্বারা কসাইয়ের Remuneration বা পারিশ্রমিক দেয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয। কসাইয়ের পারিশ্রমিক ভিন্ন অর্থ থেকে দিতে হবে। ফাতহুল বারী,৩/৬৫০-৬৫১; আলমুহাল্লা,৬/৫১-৫৩
৩. কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য মসজিদে দান করা বা মসজিদ নির্মাণের কাজে লাগানো যাবে? উত্তরঃ- কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য মসজিদে দান করা জায়েজ নয়। এমনি ভাবে এ টাকা মসজিদ Construction বা নির্মাণের কাজে ব্যয় করাও বৈধ নয়। কারণ কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য গরীব মিসকিনদের হক।
তা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে Charity বা সদকা করে দেয়া জরুরি। আর মসজিদ মুসলমানদের General donation বা সাধারণ দান দ্বারাই নির্মাণ করতে হবে। বাদায়েউস সানায়ে,৪/২২৫; ফাতহুল কাদীর,৮/৪৩৮; ইমদাদুল আহকাম, ৪/২৫৭।
-এটি