আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পুনঃস্থাপন করে জীবনধারা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। ভিস্যাট হাব স্থাপনের পাশাপাশি ইতোমধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মোবাইল টাওয়ার সচল করা হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া টেলিফোন একচেঞ্জসমূহ সচল করা হয়েছে।
সোমবার নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরীতে বন্যার্তদের মাঝে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে প্রদত্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীসহ সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বন্যায় অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জসমূহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সম্ভাব্য সব কিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এখানকার মানুষের লড়াই আমি জানি। আমিও লড়াই করেছি। এখানে একটা হাইস্কুল না থাকায় ৫৩ বছর আগে ২৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করতে হয়েছিল। কিন্তু আজকের প্রজন্ম এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যন্ত পেয়েছে।
তিনি বলেন, অকাল বন্যারোধে নদী, খাল ও বিল খননে ১৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প সরকার গ্রহণ করেছে। সাব মার্জিবেল রাস্তার পরিবর্তে হাওরের মানুষের জন্য উড়াল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে মধ্যনগর থেকে তাহিরপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উড়াল সেতু নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খালিয়াজুরীতে উড়াল সেতু দিয়ে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
হাওরাঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ প্রদান করার লক্ষ্যে এসওএফ’র অর্থায়নে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
-এএ