সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জিলহজ মাসে নখ-চুল ইত্যাদি না কাটার বিধান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী

যে ব্যক্তি কুরবানী দিবে তাঁর জন্য জিলহজ্ব মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল ও নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَمَسَّ مِنْ شَعَرِهِ وَلاَ بَشَرِهِ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏

অর্থাৎ হযরত উম্মে সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যখন (যিলহাজ্ব মাসের) প্রথম দশক শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন তার চুল ও শরীরের কোন অংশ স্পর্শ না করে (না কাটে)।
মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ১৯৭৭, নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং- ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৪ , মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ২৫৯৩৫,

তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত হয়েছে...
قَالَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم "‏ مَنْ رَأَى هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ ‏"‏ ‏
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ- যে ব্যক্তি যিলহাজ্বের নতুন চাঁদ দেখেছে এবং কুরবানীর নিয়ত করেছে সে যেন নিজের চুল ও নখ (কুরবানীর পূর্ব পর্যন্ত) না কাটে। তিরমিযি শরীফ, হাদীস নং- ১৫২৩,ইবনে মাজাহ শরীফ হাদীস নং-৩১৪৯,

তবে এই মুস্তাহাব হুকুম তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা এর উপর আমল করলে নখ কাটা ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের মেয়াদ ৪০ দিন অতিক্রম করবে না। কিন্তু এর উপর আমল করতে গিয়ে যদি ৪০ দিন অতিক্রম হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে ৪০ দিনের ভিতরে অবশ্যই তা পরিষ্কার করে নিবে। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ وَنَتْفِ الإِبْطِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ‏.‏ অর্থাৎ হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন...গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নীচের লোম ছেঁচে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল যে আমরা তা ৪০ দিনের অধিক দেরি না করি। মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৪৮৭

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কুরবানীকারী তার নখ ও চুল ইত্যাদি কখন কাটবে ? এর উত্তর হচ্ছে কুরবানীকারী নিজের কুরবানী সম্পন্ন হওয়ার পর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবে। কেননা হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন
‏ مَنْ كَانَ لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أَهَلَّ هِلاَلُ ذِي الْحِجَّةِ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا حَتَّى يُضَحِّيَ
অর্থাৎ যার কুরবানীর পশু রয়েছে, সে যেন যিলহাজ্ব মাসের নতুন চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানী করার পূর্ব পর্যন্ত তাঁর চুল ও নখ না কাটে।আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং- ২৭৯১

আর যিলহাজ্ব মাসের নতুন চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানী করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটার বিধান শুধুমাত্র যারা কুরবানী করবে তাদের জন্য প্রযোজ্য অন্য কারো জন্য নয়।

মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ১৯৭৭, নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং- ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ২৫৯৩৫।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ