আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
শনিবার (২৫ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। জাতি এতে গৌরবান্বিত। প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, যেমনটি তার বাবা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭ মার্চে। খুবই আনন্দ লাগছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ঐতিহাসিক মুহূর্তই আমি মিস করিনি, এটা আমার সৌভাগ্য। আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমার জীবনের একটা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে। আজ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন, আমি আমার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব আরও মহানুভব হওয়ার জন্য। উনি ভালো কাজ অনেক করেছেন। ওনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। এখন আমাদের নজর দিতে হবে প্রান্তিক মানুষের দিকে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সবাই বলেছিল- এই সেতুর নাম হাসিনা সেতু করতে। উনি করেননি। পদ্মা সেতু নাম রেখেছেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন।
ড. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের হিউমারটা কমে গেছে। আমার প্রধানমন্ত্রী হিউমার করে বলেছেন “চুবাবো-উঠাবো” এটাকে এত সিরিয়াসলি না নিলেও হতো। উচিত ছিল ওনাকে (খালেদা জিয়া) দাওয়াতটা দেয়া, জামিনটা দেয়া উচিত ছিল, ওনাদেরও আসাটা উচিত ছিল।
পদ্মা সেতু নিয়ে ড. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, এই যে বিরাট কাজটা করেছে, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে ঠিক, কিন্তু এখানে বড়লোকদের লাভ হবে বেশি, গরিবদের কম। এ জন্য আমার দু’টি অনুরোধ থাকবে। প্রথমত, অ্যাম্বুলেন্সকে টোল ফ্রি করে দিতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, বিদেশিদের যে কোনো বাহন তা সে যেমন বাহনই হোক না কেন তাদের ডবল টোল দিতে হবে। কারণ, এটা আমাদের কষ্টার্জিত পয়সায় আমাদের শ্রমে তৈরি হয়েছে।
পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই। এ ছাড়া আমাদের শ্রমিক ভাই ও ইঞ্জিনিয়ার যাদের কঠোর পরিশ্রমে আমাদের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
-এএ