আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আহতদের চাপে তিল ধারণের যেন ঠাঁই নেই আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে। প্রবল ভূমিকম্পে যে কয়েকটি হাসপাতাল টিকে আছে সেখানেই কোনো রকমে চলছে আহতেদর চিকিৎসা। কিছু অস্থায়ী হাসপাতাল বানালেও রোগীর তুলনায় তা অপ্রতুল।
হাসপাতালের একেকটি বেডে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তিন-চার জন রোগীকে। চিকিৎসক থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, সবকিছুরই অভাব। গায়ান জেলার ৫ বেডের একটি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫শর বেশি মানুষ। তালেবানরা হেলিকপ্টারে করে ওই হাসপাতালগুলোতে নিয়ে গেছে তাদের।
সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বণ্টন। এখনও চালানো হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। বিপর্যস্ত বাসিন্দাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দীন হাক্কানি বলছেন, আমাদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল আহতদের উদ্ধার করা এবং যারা জীবিত আছন তাদের খুঁজে বের করা। দুর্গত এলাকায় এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে আনুরোধ, আফগানদের সহায়তা চালিয়ে যান।
এদিকে মানবেতর অবস্থায় দিনপাত করছেন ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবল থেকে বেঁচে ফেরা মানুষগুলো। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে তাদের। খাবার নেই, রয়েছে সুপেয় পানির অভাব। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশ্ববাসীর সহায়তা কামনা করছেন তারা।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বৈদেশিক সহায়তা চেয়েছে তালেবান সরকার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমাদের সাথে বৈরী সম্পর্কে ও তালেবান সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার জেরে সহায়তা পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়বে তাদের।
-এটি