আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে শুরু হয়েছে। জমকালো আয়োজনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে যাওয়ার পর সমাবেশ যোগ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দেশি বিদেশি কয়েক হাজার আমন্ত্রিত অতিথি। বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এরপর বক্তব্য দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখন বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শুরুতে আবেগাপ্লুত দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সরকারপ্রধান।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা শুধু ইট, সিমেন্ট ও কনক্রিটের সেতু নয়, এটা বাংলাদেশের সম্মান ও সক্ষমতার প্রতীক।
সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টোল প্লাজায় যাবেন। সেখানে তিনি টোল প্রদান করবেন।
টোল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক এবং ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ এ জনসভায় ১০ লাখ লোক জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছে। জনসভায় যোগদান শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
এনটি