মূল: মুফতি শফি রহ.
অনুবাদ: নোমান আব্দুল্লাহ
মুফতি শফি রহ. প্রায়ই বলতেন, রাত আল্লাহ তায়ালার বিরাট নেয়ামত। রাতকে কেন্দ্র করে আল্লাহ তায়ালা ঘুমের ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করেছেন যে, ঠিক রাতেই সবার ঘুম আসে।
এমন যদি হতো, ঘুমের ব্যাপারে সকলের ইচ্ছাধিকার রয়েছে; যার যখন ইচ্ছা সে ঘুমিয়ে পড়বে, তাহলে কারো সকাল আটটায়, কারো দুপুর বারোটায়, আবার কারো বিকেল চারটায় ঘুম পেলে সে শুয়ে পড়তো। ফলে দেখা যেতো, একজন ঘুমাতে যাচ্ছে আর আরেকজন কাজ করছে। তখন তার কাজের আওয়াজে ঘুমন্ত ব্যক্তির ঘুম ভালোমতো হতোনা। ফলে অস্থিরতা ও অশান্তি বেড়ে যেতো।
এজন্য আল্লাহ তায়ালা ঘুমের ব্যাপারে এমন এক ব্যবস্থাপনা করেছেন যে, রাতের বেলাতেই মানুষ থেকে শুরু করে সকল পশুপাখি ঘুমিয়ে পড়ে।
মুফতি শফি রহ. আরও বলতেন, ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে জ্ঞানীগুণীরা সিদ্ধান্ত নিতে কি কখনো বসে ছিলো? না কখনো এমন হয়নি। যদি আল্লাহ তায়ালা মানুষের উপর ঘুমের সময় ঠিক করার দায়িত্ব ছেড়ে দিতেন, তাহলে আদৌ সকল মানুষ মিলে নির্দিষ্ট একটা সময় ঠিক করতে পারতো না।
তাই আল্লাহ নিজ দয়া ও অনুগ্রহে রাতের বেলা মানুষের উপর ঘুমকে প্রবল করে দিয়েছেন এবং মানুষের অন্তরে এই অনুভূতি সৃষ্টি করে দিয়েছেন যে এখন রাতের বেলা হলো ঘুমের সময়। ফলে মানুষ রাতের বেলা ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, আর আমি রাতকে বানিয়েছি প্রশান্তিরূপে (সুরা আনয়াম, আয়াত ৯৬)। আর তিনি দিনকে বানিয়েছেন জীবিকানির্বাহ ও কাজকর্ম করার জন্য। তাই ঘুম আল্লাহর এক বিশেষ দান। আল্লাহ তায়ালা চান যেনো আমরা তার ঘুমের নেয়ামত ভোগ করি এবং কার পক্ষ থেকে মানুষ এই বিশেষ নেয়ামতপ্রাপ্ত হচ্ছে তা স্মরণ করে মহামহিম প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করি। সূত্র: ইসলাহি খুতুবাত
-এটি