সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রহ. এর উপদেশবাণী: পর্ব- ৩

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

১৬. এক ছাত্র তাঁর কাছে উপদেশ চান। ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে তিন বলেন, ‘তুমি আল্লাহ তায়ালাকে নিজের সঙ্গি বানাও। আপন বানাও। আর লোকজনকে পিছনে রাখো’। (তাহলে তুমি সর্বক্ষেত্রে সফল হয়ে যাবে- সংকলক)

১৭. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা একজন তাওয়াফকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি সৎলোকদের মর্যাদার স্তরে পৌঁছতে পারবে না যতোক্ষণ না তোমার উপর দিয়ে ৬ টি কঠিন পরিস্থিতি না যাবে।

১. নিয়ামতের দরজা বন্ধ হয়ে কষ্টের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ২. ইজ্জতের দরজা বন্ধ হয়ে অপমানের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ৩. আরাম-আয়েশের দরজা বন্ধ হয়ে পরিশ্রমের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

৪. ঘুমের দরজা বন্ধ হয়ে অনিদ্রার দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ৫. সচ্ছলতার দরজা বন্ধ হয়ে অভাব-অনটনের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
৬. মৃত্যুর প্রস্তুতির দরজা বন্ধ হয়ে দীর্ঘ ও লম্বা লম্বা আশার দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

১৮. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা হজরত সুফিয়ান ছাওরি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কাছে চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘যে ব্যক্তি তার চাহিদাকে চিনতে পেরেছে, তার জন্য খরচ করা সহজ হয়ে গেছে। যে ব্যক্তি চোখের দৃষ্টিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে, তার আক্ষেপ-অনুশোচনা বেড়ে গেছে। যে ব্যক্তি দীর্ঘ আশা-আকাক্সক্ষার পথকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে, সে তার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছে।
যে ব্যক্তি জিহ্বাকে স্বাধীনতা দিয়েছে, সে নিজেকে হত্যা করে দিয়েছে’। সূত্র: তবাকাতুস সুফিয়্যা: পৃ. ৪০-৪২।

১৯. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘তুমি তোমার মাঝে ও আল্লাহ তায়ালার মাঝে অন্য কাউকে অনুগ্রহকারী করো না। বরং তোমার উপর দেওয়া তাঁর নিয়ামতসমূহে তুমি গণিমত মনে করো’। সূত্র: আল-জামিউল উলূমিল ইমাম আহমাদ: খ. ২০, পৃ. ২৬০

২০. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘দুনিয়া বিমূখতা হলো ৩ প্রকার। ১. ফরজ। ২. উত্তম। ৩. নিরাপদ। প্রথম প্রকার দুনিয়া বিমূখতা হলো, হারাম থেকে বেঁচে থাকা। দ্বিতীয় প্রকার দুনিয়া বিমূখতা হলো, হালাল থেকে বেঁচে থাকা। তৃতীয় প্রকার দুনিয়া বিমূখতা হলো, সন্দেহযুক্ত জিনিস থেকে বেঁচে থাকা। সূত্র: আজ-জুহুদ লি ইবনি আবিদ দুনিয়া: পৃ. ৬৯।

২১. শোনে রেখো! কোনো সম্ভ্রান্ত, সম্মানীয় মানুষ কখনো দুনিয়ার কোনো বিষয়ে অসন্তুষ্ট হতে পারে না। দুনিয়া নিয়ে রাগ-গোস্বা করতে পারে না। সূত্র: আজ-জুহুদ লি ইবনি আবিদ দুনিয়া: পৃ. ১১৫

২২. দুনিয়া বিমূখীদের মধ্যে উঁচু মানের বিমূখী হলো ওই ব্যক্তি, যে নির্বোধ ও জাহেলরা তাঁকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করবে এই ভয়ে সে নিজেকে তাদের থেকে দূরে রাখে। সূত্র: আজ-জুহুদ লি ইবনি আবিদ দুনিয়া: পৃ. ১৫০

২৩. তুমি যদি সর্বদায় তওবার আয়নায় দৃষ্টি দিয়ে রাখো, তাহলে তোমার কাছে গুনাহের ক্ষতির খারাপতা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সূত্র: আত-তওবা লি ইবনি আবিদ দুনিয়া: পৃ. ৬৪

২৪. যদি তোমার খাবার পবিত্র হয়। তাহলে রাতে নামাজ ও দিনে রোজা না রাখতে পারলেও তোমার কোনো ক্ষতি হবে না। সূত্র: আল-জূ লি ইবনি আবিদ দুনিয়া: পৃ. ১৫০।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ