আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অনেক মানুষ আমাদের এ সময়টাতে প্রশ্ন করছে কুরবানি না দিয়ে এর টাকা দান করা যাবে কি না। এ প্রশ্নগুলো আগে আমরা শুনতাম না। কিন্তু ইদানিংকালে এ প্রশ্নগুলো খুব বেশি করা হচ্ছে। আমরা খেয়াল করেছি যে কয়েকবছর আগ থেকে এ প্রশ্নগুলো করা শুরু হয়েছে।
তারকা জগতের কিছু লোক ঘোষণা দিয়েছিলো যে আমরা কুরবানি না দিয়ে এ টাকা গরীব দু:খিদের মাঝে দান করে দিবো। এখন বিষয় হলো কুরবানির টাকা দান করলে সদকার সাওয়াব পাওয়া যাবে। কুরবানি আদায় হবে না। কুরবানির সাওয়াব কিন্তু পাবেন না। আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন কাল কিয়ামতের দিন কুরবানির পশু তার পশম ও খুর নিয়ে ওঠবে। এক বড় সাওয়াব থেকে সে মাহরুম হবে।
এখন আপনি যদি কুরবানির টাকা দান করে দেন তাহলে সদকার সাওয়াব পেলেও আপনি কুরবানির মত গুরুত্বপূর্ণ বিধান না করায় ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার গুনাহগার হবেন। আর আবশ্যই আপনার উদ্দেশ্য ভালো। কিন্তু আপনার পদ্ধতিতে সমস্যা আছে।
উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্নাদুর্গতদের মাঝে আপনি আপনার টাকা দান করবেন। কিন্তু এখানে আপনি চাইলে আপনার তো টাকা আছেই। আপনি দানও করবেন আবার কুরবানিও দিবেন। কিন্তু কুরবানি না করে দান করা যাবে না। আপনি চাইলে কুরবানি করেও গরীবদের সহযোগিতা করতে পারবেন। তারা সারা বছর কিন্তু আমিষের অভাবে ভোগে। তারা সারা বছর গোশত খাওয়ার সামর্থ রাখে না। তাই তাদের এটারও অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তাদের মধ্যে কুরবানি করে গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দিলেন। এদিকে যারা গরীব খামারি আছে তারাও আপনার পশু কেনার থেকে কিছু ইনকাম করতে পারলো।
গ্রাম গঞ্জের হাজার হাজার গরীব মানুষ তারা এ আশায় পশু পালন করে যে কুরবানি আসলে আমি পশু বিক্রি করে কিছু ইনকাম করবো। তাদেরও তো আপনি সহযোগিতা করলেন। কুরবানির সময় হাজার হাজার কশাইদের জীবিকার ব্যবস্থা হয়। তারচেয়ে বড় বিষয় কুরবানির চামড়া ইয়াতিমদের অভাবি মানুষদের রিজিকের ব্যবস্থা হচ্ছে। আবার চাইলে আপনি নিজেও ব্যবহার করতে পারবেন।
হাজার হাজার মাদরাসা ও ইয়াতিমরা আছে যাদের রিজিকের ব্যবস্থা হয় এ চামড়ার থেকে। তাই আপনার উচিত কুরবানি না করার এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা। মূলত আপনার কুরবানির মাধ্যমে আপনি আরো বেশি গরীব অসহায়দের সহায়তা করতে পারছেন।
-এটি