আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি।
তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অত্যাধুনিক নকশায় ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই দোতলা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। করোনাকালে সরকার প্রধানের সংবাদ সম্মেলনগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকরা।
গ্রামীণ ব্যাংকের সামান্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের জন্য নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ব্যাংকের সামান্য এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন ড. ইউনূস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ্যের জন্য মানুষ দেশের, দেশের মানুষের জন্য এত বড় ক্ষতি করতে পারে আমার জানা ছিল না।’
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগের প্রক্ষিতে কয়েক বছর সময় নষ্ট হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
পদ্মা সেতুর কাজে কোনো আপোষ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজের মানে আমরা কোনো আপোষ করিনি।’ ভূমিকম্প, ধারণ ক্ষমতাসহ সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, যখন এই সেতু আমি করব। মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের শক্তিতে আমরা এই সেতু করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সিলেটে যে বন্যা হয়েছে তা অকল্পনীয়, স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষ বা সরকারের কারোই নেই। তবে ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। আর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্গত মানুষদের সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন বাহিনীর শতাধিক বোট, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য যান উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাসভাসীদের সহায়তায় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারের। সিলেট অঞ্চলে কাজ করছে ৩০০ মেডিকেল টিম। সিলেটে ১২৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এনটি