মুযযাম্মিল হক উমায়ের ৮. তাওয়াক্কুল হলো আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত অন্তরের এক প্রশান্তি। যা হাসিল করতে পারলে মানুষ অন্তরের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে যায়।
৯. আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিপদ আসার কারণে যদি কেউ অন্যের কাছে অভিযোগ করে, তাহলে সে অন্তরে আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের স্বাদ পাবে না। অন্তর থেকে আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের স্বাদ ওঠিয়ে নেওয়া হয়।
১০. যদি তুমি আরামে থাকতে চাও, তাহলে যা আসে খেয়ে নাও। যা আসে পরিধান করে নাও। আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য যা বরাদ্দ করেছেন তুমি তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।
১১. মেহমান আসার চেয়ে আমার কাছে অধিক পছন্দের আর কোনো কিছু নেই। কারণ, সে তার রিজিক নিয়ে আমার কাছে আসে অথচ ফ্রি ফ্রি আমাকে নেকি দিয়ে যায়।
১২. যদি তুমি মানুষ চিনতে চাও, তাহলে দেখো! আল্লাহ তায়ালা তাকে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন আর মানুষ তাকে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছে- তার অন্তর কার ওয়াদার প্রতি বেশি আশ^স্ত। (অর্থাৎ যদি সে আল্লাহ তায়ালার ওয়াদার প্রতি বেশি আশ^স্ত তাহলে বুঝতে হবে সে নেক মানুষ। আল্লাহওয়ালা। আর যদি মানুষের ওয়াদার দিকে তার আশ^স্ত বেশি মনে হয়, তাহলে বুঝতে হবে সে ভেজাল মানুষ- সংকলক)
১৩. মানুষের মধ্যে তাকওয়ার পরিধি জানার ৩ টি উপায়। ১. ব্যক্তির আয়-উপার্জনের দ্বারা। (অর্থাৎ, হালাল-হারাম বাছ-বিচার করে গ্রহণ করে কি না- সেটি যাচাই করার মাধ্যমে- সংকলক) ২. ব্যক্তির সতর্কতার মাধ্যমে। (অর্থাৎ, নিষিদ্ধ বস্তু থেকে দূরে থাকার সতর্কতার পরিমান- যাচাই করার মাধ্যমে- সংকলক) ৩. ব্যক্তির কথাবার্তার মাধ্যমে। (অর্থাৎ, কথাবর্তা বলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় অবস্থা বুঝে-শুনে কথাবার্তা বলে কি না- যাচাই করার মাধ্যমে- সংকলক)
১৪. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কাছে তওবার হাকিকত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অতিত গুনাহসমূহের জন্য সর্বদায় রোনাজারি করা। বর্তমানে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকায় সর্বদায় অস্থির থাক। খারাপ লোকদের সংশ্রব পরিহার করা। খারাপ লোকদের সংশ্রবকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নেওয়া। এই বিষয়গুলির সমন্বয়কে একসাথে তওবা বলা হয়’।
১৫. হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কাছে মাহরুম হওয়ার কোনো আলামত আছে কি না- জানতে চাওয়া হলে- তিনি বলেন, ‘ইবাদতের কাজ থেকে দূরে থাকা। ইবাদতের কাজ সামনে আসলেই অন্তরে অস্থিরতা বিরাজ করা। অন্তরকে ইবাদত থেকে দূরে রাখা। গুনাহের কাজকে হালাল মনে করা। গুনাহের কাজের সাথে নিজেকে আন্তরিক করে নেওয়া।
দুনিয়ার দিকে নিজেকে ঝুকিয়ে নেওয়া। পরকাল থেকে নিজেকে দূরে রাখা। পেট আর লজ্জাস্থানের চাহিদা পুরন করা নিয়েই ব্যস্ত থাকা। দুনিয়া কোথায় থেকে কীভাবে কামানো হচ্ছে সেদিকে পরোয়া না করা’।
এই কাজগুলি যার মধ্যে দেখা যাবে বুঝতে হবে সে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিতারিত। বঞ্চিত। মাহরুম। তার কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার কাছে গৃহিত হবে না। আল্লাহ তায়ালা তার কোনো আমলের উপর সন্তুষ্ট হবেন না। তবাকাতুল আওলিয়া: পৃ. ১-১৪G
-এটি