নুরুদ্দীন তাসলিম।।
ভারতের মহারাষ্ট্রে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাশের হার ৯৬.৯৪ ভাগ। এই পরীক্ষায় একটি মাদরাসার ২০-এর অধিক হাফেজ ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে।
রোববার কওমি আওয়াজ জানিয়েছে, টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালওয়ানিতে (মালাদ) একই ভবনে অবস্থিত জামিয়া তাজবীদ-উল-কুরআন মাদরাসা ও নূর মেহর উর্দু স্কুলের ২২ জন ছাত্র এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণ ২২ জনই কুরআনের হাফেজ বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
স্কুল-মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আলী বলেন, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২২ জন কুরআনের হাফেজ অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে। আমরা আনন্দিত যে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করেছে।
উল্লেখ্য, এই মাদরাসাটি যেই ভবনে অবস্থিত তা আলী ভাই নামের এক ব্যবসায়ী ২০০০ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তর করেন। ২০১১ সালে এই মাদরাসার আরো ১৩ শিক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়।
গত এক দশকে এই মাদরাসার ৯৭ জন হাফেজে কুরআন এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং অন্যরা চাকরি করছে।
আলী ভাই বলেন, আমাদের কিছু শিক্ষার্থী এখন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট। তারা মূলধারার চাকরি করছে এবং ভালো বেতন পাচ্ছে।
মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয় এবং অনেক মাদরাসা তাদের পাঠ্যক্রমে বিজ্ঞান ও গণিতের মতো আধুনিক বিষয়গুলি এড়িয়ে যায়। কারণ এতে ধর্মীয় শিক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
শুরুর দিকে ছাত্রদের নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাকে সহায়তা করেছিলেন শেখ আখলাক আহমেদ। তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতা সারা দেশের অনেক মাদরাসায় প্রয়োগ করা যেতে পারে, আধুনিক শিক্ষা ধর্মীয় শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না।
মালাদ মাদরাসার শিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ আইজাজ বলেছেন, এই বছরটা অনেক কঠিন ছিল। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে শিক্ষার্থীদের আট মাস ধরে অনলাইনে পড়াতে হয়েছিল। তারা শুধুমাত্র চার মাস অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছিল, তবে আমরা তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেছি।
সূত্র : কওমি আওয়াজ
এনটি