মুযযাম্মিল হক উমায়ের হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা কৃষিকাজ করে ২০ দেরহাম জমা করেছিলেন। তিনি ঘরে প্রবেশ করেন। সাথে একজন সঙ্গীও ছিলো।
তিনি মাথার চুল মুন্ডন ও শিঙা লাগাতে চাইলেন। এই উদ্দেশ্যে তাঁরা উভয়ে শিঙার কাজ করেন তার কাছে যান। সে তাঁদের উভয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলো। সে বলতে লাগলো, আমার কাছে আপনাদের মত যারা আছে তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ আর কেউ নেই। আমাকে ছাড়া আপনারা এই দুনিয়ায় আর কাউকে পেলেন না?
এই বলে সে অন্যদের কাজ করা শুরু করলো। এবং তাদের কাজ করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা ধৈর্যের সাথে সেখানে বসেই আছেন। সাথে সঙ্গীও বসে আছেন। সে অন্যদের কাজ শেষ করে তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলো, কী ব্যাপর? আপনা কী চান? বসে আছেন কেনো?
হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, আমি চুল মুন্ডন করবো এবং শিঙা লাগাবো। সে হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কাজ করে দেয়। কিন্তু তাঁর সাথে ওইলোকের দ্বারা কাজ করাতে অসম্মতি প্রকাশ করলেন। কারণ, লোকটি তাঁদের উভয়কে অপমান করেছিলো। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিলো।
হজরত ইবরাহিম বিন আদহমা রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা উক্ত লোকটিকে কাজের বিনিময় হিসাবে ২০ দেরহাম দিয়ে দেন। (বিশ দেরহমা অনেক টাকা। যা তার কাজের বিনিময়ের চেয়ে বহুত বেশি ছিলো) তাই হজরত ইবরাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার সাথী তাঁকে বললো, আপনি এটি কি করলেন? সামান্য কাজের বিনিময়ে এতো টাকা দিয়ে দিলেন? এছাড়া সে আমাদেরকে অপমানও করেছে? আপনি তো অদ্ভুদ কাজ করলেন?
সঙ্গীর শাসানো এমন কথা শুনে তিনি বললেন, ‘চুপ করো। কথা বলো না। আমি এই কাজ এইজন্য করেছি, যাতেকরে আমাদের পর আমাদের স্বজাতীয় কাউকে সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে না পারে। অপমান-অপদস্ত করতে না পারে’। সূত্র: তবাকাতুল আওলিয়া: পৃ. ৯
-এটি