আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রড্রিগেজ বলেছেন, আমেরিকা তার দেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাকে চাঁদাবাজি বললেও ভুল হবে না। তিনি আরো বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর আমেরিকা ‘কৃত্রিম দখলদারিত্ব’ কায়েম করেছে।
ভেনেজুয়েলার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নীতির কারণে বিগত বছরগুলোতে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো। পশ্চিমা দেশগুলো মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে এবং ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। কারাকাস সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ২৫তম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে দেয়া বক্তৃতায় রড্রিগেজ বলেন, আমেরিকা এ পর্যন্ত ভেনিজুয়েলার ওপর ৫০২ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং দেশটির তেলখাতসহ সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎসগুলো লক্ষ্য করে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেইসাথে ভেনেজুয়েলার খাদ্যপণ্য আমদানিকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দেশের তেল রফতানি শতকরা ৮৭ ভাগ কমে গেছে এবং তেল রফতানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১৪০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।
রড্রিগেজ বলেন, যারা এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ‘কৃত্রিম দখলদারিত্ব’ আরোপ করে। কাজেই ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে অচিরেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশের খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে কারাকাসের গৃহিত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৩ ভাগ খাদ্যপণ্য দেশেই উৎপাদিত হয়।
সূত্র : পার্সটুডে
এনটি