আবদুল কাইয়ুম শেখ: সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। উত্তর জনপদের জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর ডিমলার অবস্থাও ভাল নয়।
দুর্ভোগ-দুর্দশার যেখানে কোন সীমাপরিসীমা নেই সেখানে পঞ্চাশ-ষাট লক্ষ টাকার ত্রাণ পর্যাপ্ত হওয়ার কথা নয়। এমনিতেই মুষলধারে বৃষ্টি। সাথে আছে পাহাড়ি ঢল!
এমতাবস্থায় কোথায় আশ্রয় নেবে মানুষ? কী খেয়ে তারা দিনাতিপাত করবে? গত পরশু দিন বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী জমিয়তের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে সরেজমিনে ভয়াবহতা ও অসহায়ত্বের যে চিত্র দেখে এসেছেন তা বর্ণনাতীত বলে এক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন জমিয়ত মহাসচিব।
দলমত নির্বিশেষে যারা নিজেদের সাধ্যমত বন্যার্ত জনতার পাশে দাঁড়াচ্ছেন মহান আল্লাহ তাদের সকলের ত্যাগ কবুল করার প্রার্থনা করেন। এরপর সামর্থ্যবানদেরকে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন! আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বানভাসীদের সেবায় নিজেকে যুক্ত করি এবং দোয়া ও ইস্তেগফারে মনযোগী হই।
তিনি তার সেই ফেসবুকীয় স্ট্যাটাসে নিম্নোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা দয়ালুদের উপর দয়া ও অনুগ্রহ করেন। যারা জমিনে বসবাস করছে তাদের প্রতি তোমরা দয়া কর, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৯২৪)
-এটি