আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, একটি আদর্শিক ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীলদের ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ইসলামের রাজনীতি সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতি। ইসলামের সমাজনীতি, সমরনীতি, অর্থনীতি সর্ব শ্রেষ্ঠনীতি। ইসলামের এ নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজ-রাষ্ট্রে শান্তি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এটাকে সর্বস্তরের মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। এজন্য সংগঠনের দায়িত্বশীলদেরকে আদর্শিক ভাবে গড়ে উঠতে হবে। একঝাঁক প্রতিভাবান, ত্যাগী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। যুগ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শবান হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকায় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে অসহায় জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত। কল্যাণকামীতাই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
গতকাল সকাল থেকে দিনব্যাপী সারাদেশের বাছাইকৃত দায়িত্বশীলদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
তিনি বলেন, দেশ ক্রমেই অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগুচ্ছে। সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চাচ্ছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। নতুন ইসির অধীনে কুমিল্লার নির্বাচনেও তা স্পষ্ট হয়েছে। কাজেই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অর্ধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
-এটি