আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব।
আজ এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর কোম্পানীগঞ্জসহ সিলেট সদরের প্রায় এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। সড়ক যোগাযোগও এক প্রকার বিচ্ছিন্ন। গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বিপদগ্রস্ত জনগণ।
তিনি বলেন, বানভাসী মানুষের পাশে থেকে তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ-এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবা সংস্থাকে এগিয়ে আসার প্রতি আহ্বান জানান। সেইসাথে দলীয় নেতাকর্মীদের যার যার সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, বন্যায় দুর্গত সিলেট, সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার বন্যার্ত মানুষের আশানুরূপ সাহায্য-সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এসব জেলার মানুষ খেয়ে না খেয়ে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। সে দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান এবং সাহায্য সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সেইসাথে দলের নেতাকর্মীদেরকে সহযোগিতা মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বন্যায় দুর্গতদের পুনর্বাসন অপ্রতুল। বন্যায় যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছে তাদেরকে উদ্ধার করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, দেশে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকায় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে অসহায় জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত। কল্যাণকামীতাই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে।
-কেএল