মুযযাম্মিল হক উমায়ের আসরের নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাতে জায়েদা পড়ার ফজিলত হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে। এই ফজিলতময় হাদীসের উপর যথারীতি পাবন্দির সাথে আমল করেন এমন মানুষের দেখা মেলা অনেক দায়।
যারা অবসরে থাকে তারাই তো পড়ে না। ব্যস্ত হলে তো কথাই নেই। কিন্তু কেমন ছিলেন পূর্বের রাজা বাদশা? কেমন ছিলো তাদের আমল? তা নীচের ঘটনা দ্বারা কিঞ্চিত আঁচ করা যায়।
খাজা কুতুবুদ্দীন কারি বখতিয়ার কাকি রহ. ইন্তিকালের পর তারই প্রিয় খাদিম আবু সাঈদ জানাজার নামাজের পূর্বে ঘোষণা করলেন। হজরত কারী রহ. আমাদেরকে ওসিয়ত করে গেছেন।
তাঁর নামাজে জানাজা যেনো এমন লোক পড়ায় যে নিজ লজ্জাস্থান হেফাজত করেছে। যার তাকবীরে উলা কখনো ছুটেনি। এবং আসরের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত কখনও কাজা হয়নি। সেখানে খাজা কারী রহ. এর বড় বড় খলিফারা উপস্থিত ছিলেন। তারা একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলেন। কিন্তু কেউ সামনে এগুচ্ছিলেন না। পলপল করে সময় যেতে লাগলো।
কিন্তু কেউ সামনে আসলো না। এই অবস্থা দেখে তৎকালীন ভারতের বাদশা সুলতান শামসুদ্দীন আলতামাশ রহ. বললেন আমার ইচ্ছা ছিলো না আমার উক্ত আমল আমার জীবিত অবস্থায় দুনিয়ায় প্রকাশিত হোক।
কিন্তু আমার শায়খ যেহেতু এটা প্রকাশ করতে ভালোবেসেছেন তো আর কী করা! এই কথা বলে তিনি সামনে এসে নামাজে জানাজার ইমামতি করলেন। এই ছিলো ওই যুগের রাজা-বাদশাহদের আমল। তাজকিরাতু খাজেগাঁ চাশত: ১৮৩
-এটি