আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত সরকারের প্রতি ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) আইন আরো কঠোর করতে আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী ভারত সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস নোটে বলা হয়, ভারত সরকারের উচিত (ব্লাসফেমি) আইন কঠোর করা। যাতে বাকস্বাধীনতার নামে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়।
ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এটা সত্য। এ দেশ ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন দুঃখজনক ঘটনা ও বিবৃতি, সাম্প্রদায়িকতা, চরম আকার ধারণ করেছে।
ধর্মান্ধতা থেকে অনেক মিডিয়াও প্রতিনিয়ত হৃদয়বিদারক ও দু:খজনক বিষয় প্রচার করছে। সাম্প্রদায়িকতা যেমন প্রবল হয়ে উঠছে, ঠিক তেমনই ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় গ্রন্থকেও টার্গেট করা শুরু হয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ন্যায়পরায়তা, মানবিকাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এটি দারুল উলূম দেওবন্দের জন্যও উদ্বেগের বিষয়।
যেহেতু এই স্বাধীন ভারত দেশ ও এ দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগের ফসল, এদেশের সুনামের জন্য দারুল উলূম দেওবন্দের আলেমদের আত্মত্যাগও স্পষ্ট। আজও দেশের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ভারতীয় মুসলমানরা অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করছে। কিন্তু এটা এদেশের জন্য অত্যন্ত দু:খজনক ও পরিতাপের বিষয়।
একজন আস্তিক ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির পক্ষে কোনো ধর্মের অবমাননা কোনোভাবেই সহনীয় নয়। ধর্মের অবমাননায় কখনো চুপ থাকা যায় না। ধর্মাবননা যদি ছোটও হয় এর শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের ভালো লাগুক আর না লাগুক, যদি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে একে অপরের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি প্রতিযোগিতা হয় আর যদি এক ধর্ম অন্য ধর্মের বিষয়ে উপহাস হয়, তবে আমরা ভারত সরকারের কাছে দাবি জানাই, যাতে কোনও ধর্ম বা ধর্মগুরুকে কেউ কোনোভাবে অবমাননা করতে না পারে। সরকারের উচিত ধর্মাবননার শাস্তি ও আইন কঠোর করা। যেনো কোনো ধর্মের বা ধর্মগুরুর কোনো অবমাননা না হয়।
-এটি