আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: 'ফরহাদ আমাকে বাঁচাও, আমি বাঁচতে চাই, আমি আগুনের মধ্যে আছি, আগুন আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। তোমাকে নিয়ে আমার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। আমাকে উদ্ধার করে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।'
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর বাঁচার আকুতি জানিয়ে মোবইল ফোনে এভাবে চাচাত ভাই ফরহাদের কাছে বারবার মিনতি করছিলেন চট্টগ্রাম হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাষ্টার্সের ছাত্র মোঃ মোমিনুল।
রাত দেড়টায় চট্টগ্রাাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারে নিহত মোমিনুলের লাশ ধরে বিলাপ করতে করেতে কথাগুলো বলছিলেন তার চাচাত ভাই ফরহাদ।
ফরহাদ বলেন, 'আমার ভাই মোমিনুল হক আমাকে বাঁচাতে বলেছিল, আমি বাঁচাতে পারিনি। আমার ভাই ছিলেন চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের মাষ্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি বিএম ডিপোতে আইটি অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। গত কয়েক দিন আগে আমাকে বলেছিলেন, ফরহাদ, তুই বাড়ি কখন যাবি। তোকে সাথে নিয়ে এবার একসাথে বাড়ি যাবো। এখন ভাইকে সাথে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। তবে কিন্তু জীবিত নয় মৃত ভাইকে নিয়ে।'
মোমিনুল হকের চাচা খোরশেদ আলম বলেন, 'আমার বড় ভাই মোমিনুলের পিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকেই অবসর নিয়েছেন ৷ তার বড় ছেলে মহসিন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে তিন-চার মাস আগে আইটি অফিসার হিসেবে ওই ডিপোতে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।'
মোমিনুল হক বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার মাস্টার ফরিদুল আলমের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন মোমিনুল হক।
এনটি