আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার আবকাঠামোগত উন্নয়ন,শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করতে হলে শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
অবহেলিত ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবীসমূহ পূরণে শিক্ষামন্ত্রীকে আরও আন্তরিক হবার আহবান জানিয়ে আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫% বরাদ্দের জোর দাবি জানান।
আজ বিকেলে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে "শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন ও জাতীয়করণের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫% বরাদ্দের দাবিতে" আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুফতী মহীউদ্দীন আকবর আলীর সভাপতিত্বে এবং নগর উত্তর সেক্রেটারি হাফিজুল হক ফাইয়াজ এর সঞ্চালনায় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর, দফতর সম্পাদক প্রভাষক আমজাদ হোসেন আযমী, নগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মুফতি আবু সাঈদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আমীর হোসাইন,ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করীমসহ নগর থানা নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, এসএসসির মত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথার্থ হয়নি। নতুন প্রকাশিত পাঠ্যক্রমে ৯ম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে পর্যায়ক্রমে ইসলাম ও ধর্ম এই দুটি শব্দ বাদ দিয়ে 'মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা' নামে পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
তিনি কওমি মাদরাসার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার হাইআতুল উলইয়া বোর্ডের মাধ্যমে দাওরাকে মাস্টার্সের মান দিয়েছে অথচ সেই কওমি মাদরাসা নিয়ে কথিত 'গণকমিশন' বিষোদগার করছে, দুদকে অভিযোগ করেছে যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এব্যপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ঈদের আগেই বেসরকারি শিক্ষকদের২৫ ভাগ বোনাসের পরিবর্তে শতভাগ বোনাস প্রদানের দাবি জানান।
-এটি