মারজিয়া আক্তার।।
পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি বিশেষ লক্ষ রাখা স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের সবার দায়িত্ব। সেবা-শুশ্রূষার পাশাপাশি তাদের জন্য দোয়া করা কর্তব্য। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মুয়াববিজাত (সুরা : ফালাক ও নাস) পড়ে তাকে ফুঁক দিতেন। (মুসলিম, হাদিস : ২১৯২)
আয়েশা (রা.) আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের লোকদের জ্বর হলে তিনি দুধ ও ময়দা সহযোগে তরল পথ্য বানানোর নির্দেশ দিতেন।
তা প্রস্তুত হলে তিনি পরিবারের লোকদের নির্দেশ দিতেন এটা হতে রোগীকে পান করাতে। তিনি বলতেন, এটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে শক্তি জোগায় এবং রোগীর মনের ক্লেশ ও দুঃখ দূর করে। যেমন তোমাদের কোনো নারী পানি দ্বারা তার মুখমণ্ডলের ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৯)
এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষতিকর মুহূর্ত ও অনিষ্টকর জিনিস থেকে রাসুল (সা.) উম্মতকে সাবধান করেছেন। এবং পরিবারের সদস্যদের এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন রাত শুরু হয় অথবা (বলেছেন) যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের ঘরে রাখবে। কারণ এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পারো আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো (বিসমিল্লাহ বলো)। তোমাদের ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং বিসমিল্লাহ বলো। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ ঢেকে রেখো এবং বিসমিল্লাহ বলো। তোমার বাসনপত্র ঢেকে রেখো এবং বিসমিল্লাহ বলো। সামান্য কিছু হলেও তার ওপর দিয়ে রেখে দাও। (বুখারি, হাদিস : ৩২৮০)
এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে রাসুলুল্লাহ (সা.) পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিকর বিষয় থেকে রক্ষার জন্য সর্বদা তাদের সতর্ক করতেন।
সূত্র: ইসলামী জীবন।
এনটি