শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎবিল দিতে হবে শিক্ষার্থীদের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক নতুন নিয়ম চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে মাসে ১০ টাকা হারে বিল পরিশোধ করতে হবে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে স্কুলটিতে ৭৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী শিক্ষার্থীপ্রতি ১০ টাকা হারে আদায় করলে প্রতি মাসে বিদ্যুৎবিল বাবদ ৭ হাজার ৮০০ টাকা আদায় হবে। বছরে ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিদ্যুৎবিল আসে। সে হিসাবে বছরে বিদ্যুৎবিল আসে ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যুৎবিলের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি মাসিক ১০ টাকা ফি ধার্য করেছেন শিক্ষকরা। এরইমধ্যে টাকা উত্তোলন শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বেতন দিই, সেশন ফি দিই। এরপরও প্রতি মাসে বিদ্যুৎবিল বাবদ ফি চালু করাটা অযৌক্তিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন নেছার বলেন, তিন ভবনে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিদ্যুৎবিল আসে। ৬০টি ফ্যান চলে। বিলটা দেবে কে? বিলটা তো কাউকে না কাউকে পরিশোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, যেহেতু আমাদের খরচ বাড়ছে, আমাদের তো কিছু ইনকামও বাড়ানো দরকার। বিদ্যুতের লাইন চালু করতে আমাদের প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকাটা তো আমাদের ম্যানেজ করতে হবে।

প্রধান শিক্ষক নাসির আরও বলন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎবিল বাবদ টাকা নেওয়া চালু হয়েছে। আমরা শিক্ষকরা মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসফাকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. মুজিবুর রহমান বলন, ম্যানেজিং কমিটি এ ধরনের সিদ্ধান্ত এবং রেজুলেশন নিয়েছে কি না জানা নেই। বিদ্যুৎবিল নেওয়ার বিষয়ে ওইভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ