বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে : বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী।

তিনি বলেছেন, ৩১ মে যাতে হজ ফ্লাইট শুরু করা যায় সেজন্য প্রস্তুতি আছে। কিন্তু হজে যারা যাবেন, তাদের জন্য বাড়ি ভাড়া এবং মোয়াল্লেম নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়গুলো এখনো ক্লিয়ার হয়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো দেখছে। আমাদের বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যে সব হয়ে যাবে।

সোমবার (২৩ মে) বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা নিজস্ব বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭। ২০১৯ সালে এই চারটি দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বছরও সেটি করা হবে। এতে বিমানের কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম লাভজনক রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে। এটা দুই মাসের বিষয়। শিডিউল ফ্লাইটে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না।

মাহবুব আলী বলেন,‌ আমরা আজকে এয়ারপোর্টে এসেছি, এখানকার ব্যবস্থাপনা, যাত্রী সেবাসহ সবকিছু ঠিক রাখতে সবাই যথাযথভাবে কাজ করে কিনা দেখতে। আমরা সার্বক্ষণিক এগুলো মনিটরিং করছি। মন্ত্রণালয়ে একটা টিম করেছি। সপ্তাহে তিন দিন মন্ত্রণালয়ের লোকজন এখানে থাকে। কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা হয় কিনা তারা দেখেন। সামনে হজ। হজের সকল ফ্লাইট যাতে নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। হজ ফ্লাইট কার্যক্রমের বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌আমাদের ট্রলি সংকট ছিল, সেটা এখন আর নেই। লাগেজ বেল্টে যেন কোনা সমস্যা না হয়, এ জন্য অনেকগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছি। আমরা চাই, বিমানবন্দর সুন্দরভাবে চলুক, এখানে কোনো প্রকার যাত্রী হয়রানি যাতে না হয়। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারি না, তবে থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেলে এসব সমস্যা থাকবে না। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হলে সেখানে যাত্রীরা সকল ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা পাবেন।

বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যারা ডিউটি করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আধাঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে ঢুকতে হবে। ডিউটি শেষে আধা ঘণ্টা পর বের হতে হবে। যাতে আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারি।

মাহবুব আলী বলেন, কাস্টমসের সাথে কথা হয়েছে, যাতে ঢালাওভাবে সব যাত্রীর ব্যাগ চেক করা না হয়। কাস্টমসের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে এবং তথ্যের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ হবে তাকে চেক করা হবে। চেক করতে গিয়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় যাতে কোনো হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কর্মকর্তারা হয়রানি ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি যাতে প্রত্যেক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়। যাতে হয়রানি না করা হয়। যাদেরকে তারা প্রয়োজন মনে করবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রয়োজনে তাদেরকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হবে। দেশের বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এত সংখ্যক যাত্রীকে প্রশ্ন করা এক দিনে সম্ভব নয়। যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন কেবল তাদেরকেই করা হচ্ছে। বাকিরা যাত্রী কি না এই বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ নিশ্চিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। সূত্র : ইউএনবি

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ