আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি থেকে রেলওয়ে মুক্ত হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ শুনছি।
রোববার (২২ মে) বিকেলে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি থেকে রেল (বাংলাদেশ রেলওয়ে) মুক্ত হতে পারেনি। এজন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন নতুন প্রতিষ্ঠানকে (সহজডটকম) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র দুই-তিন মাস হয়েছে, আমরা অপেক্ষা করতে চাই, দেখি আমরা কতটুকু তাদের সার্ভিস পাই।
টিকিট কালোবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মেনে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এগুলো সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, কথা বলছি। ইনশাআল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে পূর্ণগতিতে রেল চলতে পারছে না। সেখানে মাত্র ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলছে। একই সঙ্গে ওই সেতুতে রেলের ওজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। যার ফলে ডাবল ডুয়েল গেজ লাইন দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে জানিয়ে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হওয়ার পরের বছর ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে। এ ট্রেন যশোর পর্যন্ত যাবে। এখন দ্রুতগতিতে সেটির নির্মাণকাজ চলছে।
রেলের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ডাবল লাইন ছিল, সেটি এখন থার্ড লাইনে করা হচ্ছে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ছিল সেটি ডাবল লাইন করা হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন করার কাজ আমাদের হাতে আছে।
‘যেসব জায়গায় সিঙ্গেল লাইন ও আমাদের ট্রাফিক বেশি, সেসব জায়গায় আমরা এখন ডাবল লাইন করছি। পূর্বাঞ্চলে যে মিটার গেজ লাইন চলছে সেগুলো আমরা ব্রডগেজে রূপান্তর করছি।’
এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন কাজের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইয়াসিমা-জিএসই জয়েন্ট ভেঞ্চারের মধ্যে চুক্তি সই হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার ও জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো প্রমুখ।
এনটি